একটা সময় মনে হচ্ছিল, বড় রকমের বিপদেই বুঝি পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ১৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল টাইগাররা। ভারি আর স্পিনিং পিচের পূর্ণ সুবিধাই যেন আদায় করতে শুরু করেছিলেন দুই কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল এবং মিচেল স্যান্টনার। সেখান থেকেই দলের অবস্থা কিছুটা বলার মত অবস্থায় টেনে নিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং নবাগত শাহাদাত হোসেন দিপু।
ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরগতির। খুব একটা তাড়াহুড়ো করেননি দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও শুরু থেকেই তাদের অস্বস্তি টের পাওয়া গিয়েছিল। একাধিকবার লেগ বিফোরের আবেদন এসেছে। রানআউটের সুযোগ ছিল। তবে কখনো ভাগ্য, আবার কখনো আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
অবশ্য এমন সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থই হয়েছেন দুই ওপেনার। ১১তম ওভারে অকারণে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেইন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দেন জাকির। আর ঠিক তার পরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা মাহমুদুল হাসান জয়।
এরপরেই আবার স্যান্টনারের আঘাত। এবার আউট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন টাইগার অধিনায়ক। এরপরেই দলের প্রয়োজন বুঝে ব্যাট করেছেন মুশফিক এবং দীপু। টানা চার ওভার কোনপ্রকার রান না নিয়েই পার করে বাংলাদেশ। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে নিজেদের খোলস থেকে বের করে এনেছেন দুজনেই। ৭৮ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন লাঞ্চে।
Leave a Reply