1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

২০৩৫ সালের মধ্যে মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
  • ২৮৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মুটিয়ে যাবে। এ সতর্কবার্তা স্থূলতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন’-এর। সংগঠনটি জানিয়েছে, আর মাত্র ১২ বছরের মধ্যে ৪০০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের হবে। শিশুদের মধ্যে স্থূলতার হার বাড়বে সবচেয়ে দ্রুত।

ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়বে আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থূলতার জন্য বার্ষিক চার লাখ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক মূল্য গুনতে হবে। চিকিৎসা ও অন্যান্য খাতে এই আর্থিক ক্ষতি হবে।

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর প্রতিবেদনের ফলাফলকে এখনো পদক্ষেপ না নেওয়া দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

প্রতিবেদনে বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হারের দিকে আলোকপাত করা হয়েছে। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের মধ্যে ২০২০ সালের তুলনায় স্থূলতার হার দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই প্রবণতাকে বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বলেছেন লুইস বাউর। তিনি বলেন, স্থূলতার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে বিশ্বব্যাপী সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১০টি দেশের মধ্যে ৯টিতেই স্থূলতা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে।

স্থূলতা বৃদ্ধির কারণের মধ্যে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াজাত (সাধারণত প্যাকেটজাত) খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়া, খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষায় সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা না থাকা।

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর আরো বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলো প্রায়ই স্থূলতা এবং এর পরিণতি এড়াতে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। অনুমান করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। এটি বৈশ্বিক জিডিপির ৩ শতাংশের কাছাকাছি হবে।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যগুলো আগামী সোমবার জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে। সূত্র : বিবিসি

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট