1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

শুরু হলো মহান স্বাধীনতার অগ্নিঝরা মার্চ

মহানগর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ৩২৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

শুরু হলো মহান স্বাধীনতার মাস অগ্নিঝরা মার্চ। ১৯৭১ সালের এ মাসেই শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।

বাঙালি জাতির জীবনে এ মাসটি একইসঙ্গে ঘটনাবহুল, বিভীষিকার ও গৌরবের।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। এই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের উপনিবেশিক শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এই আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১-এর মার্চে এসে স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়। ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। যা একটি সংগ্রামী জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এর আগেই ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে বাঙালি জাতির ওপর নেমে আসে বিভীষিকাময় মুহূর্ত। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্বরোচিতভাবে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে বিশ্বের ইতিহাসের কলঙ্কজনক গণহত্যা।

এর পরই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই স্বাধীনতার ঘোষণার আগে মার্চের শুরু থেকে স্বাধীনতার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরিণতির দিকে আগাতে থাকে বাঙালিরা। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন। বাঙালির এই স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৬ মার্চে বাঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব স্বাধীনতার ঘোষণার পর শুরু হয় বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙালি নিধন অভিযান।

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালিরা বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। মধ্য ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দায়) মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর (ভারতীয় বাহিনী) যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। রক্তক্ষয়ী এ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মার্চ মাস তাই বাঙালির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট