1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর বাগমারায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে অখুশি কৃষক

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় চলতি মৌসুমে কন্দ জাতের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। খেত থেকে উত্তোলন শুরু করেছে কৃষকরা। হাটে হাটে বেড়েছে পেঁয়াজের সরবরাহও। দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে বাগমারার পেঁয়াজ। তবে দাম নিয়ে ক্ষোভ কৃষকদের। ক্রয় বিক্রয় করে কোন মতে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন তারা।

জানা গেছে, জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে খ্যাত বাগমারা। এ উপজেলার তাহেরপুরী পেঁয়াজের সমাদর বেশ আগে থেকেই। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের ফলনও ভাল। তবে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।

এদিকে ব্যাবসায়ীরাও উপজেলার তাহেরপুর, আলোকনগর, ভবানীগঞ্জ, শীকদারীসহ বিভিন্ন হাট থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন বলে জানা গেছে। তবে বেশি লাভবান হতে না পারলেও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য পেঁয়াজ ক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, পেঁয়াজ ক্রয় করে তা প্যাকেটিং করার জন্য বস্তার দাম, লেবার খরচ, আড়তদারী খরচ, পরিবহন খরচসহ যে পরিমাণ টাকা গুনতে হয় সে অনুযায়ী লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে কন্দ জাতের পেয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে।

আলোকনগর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান, আবুল হোসেন, আব্দুল হাকিমসহ আরো কয়েকজন জানান, পেঁয়াজ চাষে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বিক্রির পর তেমন লাভ হচ্ছে না। সেচ খরচ, সার ও শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ একেবারেই কম।

হাটে আসা তাহেরপুরের ব্যবসায়ী ও আড়তদার আব্দুল মান্নান, সাইদ, মাহাবুর, মোজাম্মেলসহ বেশ কয়েকজন জানান, আলোকনগর হাট থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে ট্রাকযোগে রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ী, রায়ের বাজার, গাবতলীসহ বিভিন্ন আড়ত, নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, সৈয়দপুর, ফুলবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেঁয়াজ সরবরাহ করা হচ্ছে।

বাগমারার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, শ্রমিক, ওষুধ ও সার খরচ বাবদ যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে, খেতে উৎপাদন ভাল হলেও বাজার দর কম হওয়ায় লাভ কম।

তাহেরপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, ব্যাবসা চলমান রাখার জন্য পেঁয়াজ কিনে কম লাভেই পাঠানো হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই তিনি ট্রাকযোগে ময়মনসিংহে পেঁয়াজ সরবরাহ করছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আড়তে, ব্যবসায়ী রফিক নারায়ণগঞ্জ পেঁয়াজ সরবরাহ করছেন বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাগমারা অঞ্চলে এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ভাল হয়েছে। উৎপাদন বেশি হবার জন্য বাজার দর হয়তো ওঠানামা করতে পারে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট