1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের ৬ বছর আগেই মেয়াদ শেষ

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩
  • ৪২৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) রাজশাহী অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দিয়েছিলেন নাহিদ হোসাইন সবুজ (৩০)। পাঁচ দফা ঘুরে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেখা মেলে লাইসেন্সের। তবে হাতে পেয়ে রীতিমতো চমকে ওঠেন তিনি। দেখেন, ছয় বছর আগেই শেষ হয়েছে এর মেয়াদ।

শাহ এন্টারপ্রাইজের মাছবাহী ট্রাক চালক নাহিদ হোসাইন সবুজের বাড়ি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরের মাস্টারপাড়ায়।

সবুজের লাইসেন্স কার্ডে দেখা গেছে, ২০২১ সালে লাইসেন্সের জন্য সবুজ আবেদন করেছিলেন রাজশাহী বিআরটিএ অফিসে। আর কার্ডে লাইসেন্স দেওয়ার তারিখ আছে ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখে আছে ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর। সবুজের আবেদনের ১০ বছর আগেই লাইসেন্স তৈরি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে- বিষয়টি কোনোভাবে ভুল হয়েছে। সংশোধনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সবুজ জানান, তিনি ২০২১ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন রাজশাহী বিআরটিএ কার্যালয়ে। এই লাইসেন্স পেতে তাকে পাঁচ দফা ডেলিভারি কাগজের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হয়েছে এই অফিসে এসে। দীর্ঘদিন ঘুরেও লাইসেন্স হাতে পাননি। কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়েছে ছয় বছর আগেই। লাইসেন্স কার্ড না থাকায় সড়কে পুলিশের জেরার মুখে পাড়তে হয়েছে তাকে।

লাইসেন্স কার্ড ডেলিভারির সময় দিয়েছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। তারা আমার কার্ডের ছবি মোবাইলে তুলে নিয়ে ই-মেইলে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। তারা বলেছেন- কিছু দিন পরে খোঁজ নিয়েন। এবার তারা ১০ মাস সময় বাড়িয়েছে। তবে লাইসেন্স পাব কিনা জানি না। তারা বলেছেন- আপনি খোঁজ নিয়েন, লাইসেন্স সংশোধন করে কার্ড তৈরি হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়রানি হতে হয়েছে লাইসেন্স কার্ডের জন্য। তারা দুই-তিন মাস করে ডেট (তারিখ) বাড়িয়ে দিত। দুই-তিন মাস পর পরে বিআরটিএ অফিসে যেতে হতো। তারা জানায়- কার্ড এখনো আসেনি। পরে কার্ড হাতে পেলাম তাও আবার ডেট (মেয়াদ) নাই।

লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিসাব করিনি। তাও ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা পার হয়ে যাবে। আই টেস্ট, ড্রপ টেস্ট। যে জায়গায় যাই সেই জায়গায় তো টাকা ছাড়া কথা বলে না। বিআরটিএতে পরিচিত কয়েকজন আছে, তারা যেভাবে বলে সেই ভাবে কাজ করি। আই টেস্ট, ড্রপ টেস্টে ১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশলী) মো. আব্দুল খালেক বলেন, এটা তো বিআরটিএ’র ভুল না। যে প্রতিষ্ঠানে কাজগুলো হয়েছে, সেখানে ভুল হয়েছে। আমরা স্বীকার করছি ভুল হয়েছে। আমি (কর্মকর্তা) ছুটিতে আছি। তাকে (সবুজ) বলেছি, দুই দিন পর অফিসে আসতে। তারপরে আবেদন লিখে পাঠিয়ে দেব। কার্ডটি ঠিক হয়ে যাবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট