1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

রং নম্বরে পরিচয়, মায়ের কারণে প্রাণ গেল মেয়েরও

মহানগর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩
  • ১৬১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে গৃহবধূ নুরুন্নাহার ও তার মেয়ে প্রিয়ন্তী হত্যার ঘটনার প্রাথমিক কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পরপর স্থানয়ীদের মাধ্যমে আটক হওয়া আলতাফ হোসেন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি একাই ওই মা ও মেয়েকে হত্যা করেছেন।

বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটক হওয়া আলতাফ হোসেন ওমান প্রবাসী। রং নম্বরের এক ফোন কলে গৃহবধূ নুরুন্নাহারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। ওমানে ভালো টাকা আয় করতে পারছিলেন না আলতাফ। নুরুন্নাহার তাকে ব্যবসার জন্য টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। ওই আশ্বাসে আলতাফ দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু নুরুন্নাহার তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ দেননি এবং সম্ভবত দিতে অস্বীকার করেন। কথা দিয়ে কথা না রাখায় আজ সকালে নুরুন্নাহারের বাসায় গিয়ে তার গলায় ছুরি ধরেন আলতাফ। নিজেকে বাঁচাতে পাশের রুমে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে প্রিয়ন্তীর কাছে চলে যান নুরুন্নাহার। সেখানে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নুরুন্নাহারকে হত্যা করেন আলতাফ। মেয়ে প্রিয়ন্তী ঘটনা দেখে ফেলায় তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

শহীদুল ইসলাম বলেন, আলতাফ হোসেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চর মেহের গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তাকে বাসা ভাড়া নেওয়ার কৌশল করে ব্যবসার জন্য টাকা নিতে আসতে বলেছিলেন নুরুন্নাহার। টাকা না দেওয়ায় হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা ছুরি এবং ছুরির কভার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, আলতাফ হোসেনের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত থেকে বাঁচতে প্রিয়ন্তী দৌড়ে নিচে নেমে নিচ তলার ভাড়াটিয়ার বাসার দরজায় ধাক্কা দিলে ভাড়াটিয়া দরজা খুলে দেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়ন্তী ডাইনিং রুমের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে। প্রিয়ন্তীর পিছু পিছু আসামি আলতাফ হোসেন দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে।

আসামি আলতাফকে আদালতে সোপর্দ করা হবে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছি। সবার আগ্রহ ছিল বলেই আমরা বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছি। গৃহবধূর স্বামী ফজলে আজিম কচির দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আলতাফকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। যদি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি না দেয় তাহলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সুধারাম মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) সকালে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের গুপ্তাংক এলাকার বার্লিংটন মোড়ের নিজ বাসায় নুরুন্নাহার ও তার মেয়ে প্রিয়ন্তীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। মা ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও মেয়ে কিছুক্ষণ বেঁচে ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা দৌড়ে পালানোর সময় আলতাফ হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহত নুরুন্নাহার নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের গুপ্তাংক এলাকার বার্লিংটন মোড়ের মানিক মিয়ার বাড়ির ফজলে আজিম কচির স্ত্রী। প্রিয়ন্তী তাদের মেয়ে।

প্রিয়ন্তীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে সড়ক অবরোধ করে তার নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের আধাঘণ্টার সড়ক অবরোধে সোনাপুর-চৌমুহনী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হয়। এ সময় তাদের হাতে ফাঁসির দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট