1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ অপরাহ্ন

প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাত পোহালে গাজীপুর সিটিতে ভোট

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ১৭০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সামগ্রী।

ভোটের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক মেশিনে।

তিনি বলেন, ৪৮০টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে। তবে এর মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ৩৫১টি কেন্দ্র। আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রগুলো দু’টি ভাগে ভাগ করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আর ঝুঁকি নেই এমন কেন্দ্রগুলোকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৭৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বা তিন-চতুর্থাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, শিল্প এলাকা বিধায় গাজীপুর সিটিতে বিভিন্ন ধরনের মানুষের বসবাস সেখানে। তাই মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। তাই অতিরিক্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

মো. আলমগীর বলেন, ৫৭টি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে ৭৪ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন ১৯ জন। সেখানে র‌্যাবের ৩০টি টিম থাকবে। বিজিবির জোয়ান রয়েছে ২০ প্লাটুন।

এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম ভোটের মাঠে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে আট জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন—মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ। এছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে হিজড়া ভোটার।

প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরার (মোট চার হাজার ৪৩৫টি) মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিশাল স্ক্রিনে ভোটের পরিস্থিতি দেখবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ নিয়ে বলেছেন, সিসি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখতে পেলে গাইবান্ধা নির্বাচনের চেয়েও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই নির্বাচনে নিজস্ব ১৫ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া জানিপপ ও সার্ক মানবাধিকার সংস্থা নামের দুটি সংস্থাও ভোট পর্যবেক্ষণ করছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৬ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে গত ১১ মার্চ। বর্তমানে যারা নির্বাচিত রয়েছেন তাদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট