1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে
কুয়াশা-হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২০২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

টানা দু’দিন শৈত্য প্রবাহের পর তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। মাঘের শুরুতে তাপমাত্রা উঠেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১২ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পর দু’দিন ১৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে এ জেলায়। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

dhakapost

নারী পাথর শ্রমিক কদবানু, হাজেরা খাতুন ও ফিরোজা খাতুন বলেন, কুয়াশার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে। পাথরের কাজ করি। শীতের কারণে পাথরও উঠছে কম। আমরা গরীব মানুষ। ঠান্ডায় তো পেটে ভাত দেবে না। গত দু’দিন ধরে কাজ করতে পারিনি। আজ বাধ্য হয়েই কাজে বেরিয়েছি। কাজ করলে পেটে ভাত জুটবো।

dhakapost

দিনমজুর আবু সায়েদ ও আয়নাল হক জানান, খুব ঠান্ডা। কিন্তু কি করবো। দিন মজুরি করে সংসার চলে। তাই কুয়াশা আর ঠান্ডার মধ্যেই কাজ করতে যাচ্ছি। কাজ না করলে চলমু কেমন করে।

ইজিবাইক চালক হামেদ আলী ও ভ্যান চালক আলী হাসান বলেন, একদিকে ঠান্ডা, তার মধ্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চায় না কেউ। তাই ভাড়া মারতে পারছি না। কয়েক দিন ধরেই ভাড়া নেই। গতকাল সারাদিনে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া মারছিলাম। এটা দিয়ে কি সংসার চলবে। কুয়াশার মধ্যেই সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলাম। আল্লাহর রহমত থাকলে কামাই হবে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। গত রোববার জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নে তালহা নামের এক শিশু ডায়রিয়ায় মারা গেছে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পঞ্চগড়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্য। তবে গত গতকাল বেলা ১১টার পর দেখা গিয়েছিল সূর্য। তাপমাত্রাও ছিল বেশ। কুয়াশা আর উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বিকেলে সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট