1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, পূর্বাভাসে শীত নিয়ে নতুন বার্তা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়াল ৪৪ হাজার ৮০০ ভোটাধিকার বঞ্চিত দেড় কোটি প্রবাসী, কার্যকর উপায় খুঁজছে সংস্কার কমিশন ভারতে পুলিশি পাহারায় ভাঙা হলো ১৮০ বছর পুরোনো মসজিদের একাংশ আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নিতে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র রুগ্ণ শিল্প

অর্থসংকটে ‘নাসা’ যাওয়া অনিশ্চিত অলীকের

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৯৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

অর্থসংকটের কারণে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (নাসা) যোগ দেওয়া অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’-১৮ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিম ‘অলীক’।

এর আগে ২০১৯ সালে ভিসা জটিলতার কারণে নাসায় যাওয়া থেকে ছিটকে পড়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এ দলটি।

জানা যায়, ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ এ ‘বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবির ‘টিম অলীক’। নাসার প্রদত্ত তথ্য ব্যবহার করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন ‘লুনার ভিআর’ তৈরি করে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি।

যা কোনো বাংলাদেশি হিসেবেও প্রথম অর্জন।

ফলে ২০১৯ নাসার সাত দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পায় ‘টিম অলীক’।

তবে ভিসা জটিলতায় সেসময় নাসায় যাওয়া হয়নি তাদের। পরে চলতি বছর আবারো ডাক পায় দলটি, তবে এবার দেখা দিয়েছে অর্থ সংকট।
এ বিষয়ে কথা হয় টিম অলীকের দলনেতা আবু সাবিক মেহেদীর সঙ্গে।

তিনি জানান, আমরা (টিম অলীক) ২০১৮ সালে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে ‘বেস্ট ইউজ অফ ডাটা’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হই। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৯টি দেশের ১৩৯৫টি দল অংশ নেয়। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।

অ্যাপ্লিকেশনটি সম্পর্কে মেহেদী বলেন, এই অ্যাপ্লিকেশন টি স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করে যে কেউ চাঁদে যাওয়ার ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা নিতে পারবে। ব্যবহারকারীরা অ্যাপোলো-১১ ল্যান্ডিং সাইট ভ্রমণ, চাঁদপৃষ্ঠ থেকে সূর্যগ্রহণ এবং এলআরও স্যাটেলাইটের সাহায্যে চাঁদের উপর প্রদক্ষিণ করে দেখতে পারবেন। ফলে চাঁদে পরিবেশ, তাপমাত্রা, কালার পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যাবে। যা আগে কেউ কখনও দেখেননি। এই অ্যাপ্লিকেশনটিই বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করে।

তিনি জানান, টিম অলীক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১৯ সালে পুরস্কার গ্রহণ ও নাসার আয়োজিত বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিতে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে আমন্ত্রণ পায়। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মার্কিন দূতাবাস ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে আমরা নাসার আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারিনি।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আমরা আবারও ‘নাসা আর্থ এন্ড সায়েন্স’ কর্তৃক আয়োজিত প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ পাই। সেখানে নাসার গবেষক এবং অন্যান্য গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নদের সামনে আমাদের কাজগুলো উপস্থাপনের সুযোগ পাব। আমাদের সাথে ২০২১ সালে চ্যাম্পিয়ন টিম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ‘মহাকাশ’ আমন্ত্রণ পায়।

এ অনুষ্ঠানটি আগামী ১৫ থেকে ১৬ মার্চ ওয়াশিংটন ডিসি নাসার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে আমরা সবাই মার্কিন দূতাবাস থেকে ভিসাও পেয়েছি। তবে অর্থ সংকটের কারণে এবারও আমাদের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চতার মধ্যে পড়েছি।

অর্থ সংকটের কথা উল্লেখ করে এ দলনেতা বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের লোকাল অর্গানাইজার ফান্ড কালেকশন করার কথা ছিল। তবে শেষ মুহুর্তে তারা অর্থ সহায়তা করতে না পারায় আমরা অনিশ্চয়তায় পড়ি। আর্থিক সংকট সমাধান করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে ‘টিম অলীক’ এবং ‘টিম মহাকাশ’ নাসার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। তাই ‘টিম অলীক’ এবং ‘টিম মহাকাশ’ স্পন্সর খুঁজছে। আমরা আমাদের অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে স্পন্সরকারীদের স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্ল্যাাটফর্মে বিশেষ ব্র্যান্ডিং ও এক্সপোজার পাবে।

টিম অলীকের আরেক সদস্য এস এম রাফি আদনান জানান, আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ নাসার সদর দপ্তরে চ্যাম্পিয়ন টিমগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। তাই আগামী ১৩ মার্চে বিমানের ফ্লাইট ধরতে হবে। ফলে আমাদের হাতে সময় রয়েছে ৫ দিন। অংশ নিতে আমাদের ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। তবে অল্প সময়ে এ অর্থ যোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই অর্জন আমাদেরকে গর্বিত করেছে। তারা ২০১৯ সালে নাসায় আমন্ত্রণ পেয়েছিল। তখন আমরা ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। তবে তারা অংশ নিতে না পারায়, আমাদের সে টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। এবার তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে হয়তো কোনো একটা ব্যবস্থা করা যেত।

টিম অলীকের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মাইনুল ইসলাম ও আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট