সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা পৌনে ৩টার দিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংসদের ট্যানেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে
মিরপুর ১০ নম্বরে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটলে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার পর
কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরা-আজমপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে হাসপাতালটিতে আহত হয়ে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে পুরো ঢাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের দফায়-দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ১০, বাড্ডা এবং আইডিয়াল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হটিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর দখলে নেওয়ার পর ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, কমপ্লিট শাটডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি
‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র অংশ হিসেবে রাজধানীর প্রগতি সরণি বসুন্ধরা গেটের সামনে থেকে নদ্দা, নতুন বাজার পর্যন্ত কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নদ্দা বাস স্টেশনের সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এই তথ্য জানান তিনি।