চারপাশে স্বচ্ছ পানির সুবিশাল সমুদ্র। তার মধ্যখানে জেগে উঠেছে এক টুকরো নয়নাভিরাম দ্বীপ। বিশাল জলসীমার আশ্রয়স্থল যেন এক টুকরো এই দ্বীপ। যার নাম চর বিজয়। এটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে সমুদ্রের বুকে অবস্থিত।
কুয়াকাটা আন্ধারমানিক ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় চর বিজয়ে। এটি এখন দর্শনীয় পর্যটন স্পট হয়ে গেছে। প্রতিবছর শীতের মৌসুমে আমরা হাজার হাজার পর্যটক নিয়ে যাই সেখানে। লাখ লাখ অতিথি পাখি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখতে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই দ্বীপটির। বর্তমানে চরের আয়তন আরও বড় হচ্ছে এবং সবুজ বনায়ন তৈরি হচ্ছে।
চর বিজয় ভ্রমণ শেষে আদিল চৌধুরী নামের এক পর্যটক বলেন, কুয়াকাটায় এসে যদি চর বিজয়ে না যেতাম তাহলে আমার ভ্রমণটা পরিপূর্ণ হতো না। যতদূর চোখ যায় শুধু অতিথি পাখির বিচরণ আর লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি দেখলে মন ভরে যায়। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে চর বিজয় যুক্ত হওয়ায় পর্যটকরা আরও বেশি আনন্দ পাবে বলে মনে করছি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কলাপাড়া জোনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, চর বিজয় আমাদের উপকূলের মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। ঝড়, বন্যা আর জলোচ্ছ্বাসের এখন সবচেয়ে বড় বাধা এই চর বিজয়। তার পাশাপাশি কুয়াকাটা পর্যটক নগরীতে যুক্ত হলো আরও একটি দর্শনীয় স্থান। তবে চর বিজয়ে থাকা অতিথি পাখি এবং লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ বিনষ্ট করা যাবে না। বর্তমানে অস্থায়ী ভাবে জেলে পল্লী তৈরি করার চেষ্টা করছে উপকূলের জেলেরা। যা এই চর বিজয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য হুমকি স্বরূপ।
এ বিষয় ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটায় আগত সকল পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সেবা দেওয়ার জন্য সব সময় আমরা প্রস্তুত থাকি। কুয়াকাটায় বর্তমানে ১৪টির মতো দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি চর বিজয়। এটি পর্যটকদের কাছে দিন দিন খুবই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই পর্যটকদের ভ্রমণের সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল টিপ তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
Leave a Reply