দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে। তবে এর প্রভাবে ট্রেনের শিডিউলে কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। নির্ধারিত সময়ের ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই ছেড়েছে প্রতিটা ট্রেন।
জামালপুরগামী তিস্তা ট্রেনের স্টাফ অনিক বলেন, সকাল থেকে কোনো ট্রেন দেরিতে ছাড়েনি। হরতাল থাকলেও তার প্রভাব এতে পড়েনি।
কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হরতাল উপলক্ষ্যে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। সার্বক্ষণিক পুলিশ কর্মকর্তারা স্টেশনে টহল দিচ্ছেন।
তবে হরতালের কারণে রাস্তায় গণপরিবহন কম থাকায় যথাসময়ে ট্রেন ধরতে পারেননি কেউ কেউ। তাদেরই একজন রামপুরার বাসিন্দা আকরাম হোসেন। পরিবার নিয়ে জামালপুর যাবেন তিনি। কিন্তু যথাসময়ে আসতে না পারায় ট্রেন মিস করেন।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেন ছিল। ভেবেছিলাম টাইমলি আসতে পারবো। কিন্তু রাস্তায় বাস ছিল না। পরে সিএনজি দিয়ে এসেছি। কিন্তু তাও ট্রেন মিস হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।
অপরদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। তবে গণপরিবহণ কম হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি চোখে পড়ছে। অনেকক্ষণ বিরতি দিয়ে যে একটি গণপরিবহন বাস স্টপেজে থামছে তাতে অফিসমুখী ও বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষজনকে ঠাসাঠাসি করে উঠতে দেখা গেছে।
গণপরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হরতালের কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী গাড়ি নামানো হচ্ছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, জনগণের জানমালের ক্ষতি হয় এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাহলে আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply