1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন

শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৬২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ নেপাল। গত কয়েকটি বয়সভিত্তিক সাফে এই নেপালী মেয়েরা বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে তাদের কাছে প্রথম ম্যাচে হার। পরে ফিরতি পর্বে ড্র করে শিরোপা জিততে ব্যর্থ হওয়া। ২০২১ সালেও অনূর্ধ্ব-১৯ সাফেও প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততে না পারা। ড্র হয় সেই ম্যাচ। কালও অনূর্ধ্ব-২০ মহিলা সাফে ছোট শামসুন্নাহারদের পড়তে হয় হিমালয় কন্যাদের সামনে।

কমলাপুর স্টেডিয়ামে ১৩ মিনিটের মধ্যে গোলাম রাব্বানী ছোটন বাহিনী ২ গোলে এগিয়ে গেলেও ২৪ মিনিটে নেপাল ব্যবধান কমায়। এরপর অতিথি দলটি ম্যাচে সমতা আনার চেষ্টা করতে থাকে। আর তাতে লাল-সবুজ মেয়েরা বেশ চাপে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তিন মিনিট ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে (৯১ মি.) শাহেদা আক্তার রিপার গোলে ৩-১ এ জয় নিশ্চিত এই সাফের স্বাগতিকদের। কাল অন্য ম্যাচে ভারত ১২ গোলে ভুটানকে হারানোর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট সমান তিন হলেও গোলে এগিয়ে ভারত। আমাগীকাল সন্ধ্যা ৭টায় রুপনা চামকাদের প্রতিপক্ষ ভারত।

এবারের মহিলা লিগের (২০২২ সালে শেষ) দুই সেরা খেলোয়াড় আকলিমা খাতুন ও শাহেদা আক্তার রিপা। আতাউর রহমান কলেজ দল থেকে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন আকলিমা। একই দলের রিপা পান সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। শনিবার বাংলাদেশের গোল উৎসবের শুরু ও শেষটা এই দুই ফরোয়ার্ডের কল্যাণে। তিন মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় আকলিমার গোলে। রিপার থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে বিপক্ষ কিপারকে পরাস্ত করেন আকলিমা।

গত বছর অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা সাফের প্রথম ম্যাচেও আকলিমার গোল ছিল নেপালের বিপক্ষে। ১৩ মিনিটে বাংলাদেশ স্কোর লাইন ২-০ করে অধিনায়ক ছোট শামসুন্নাহারের গোলে। ডিফেন্ডার আফেইদা খন্দকার প্রান্তির লব থেকে বল পেয়ে অফ সাইড ট্র্যাপ ভেঙে বক্সে ঢুকে গোল করেন শামসুন্নাহার। সর্বশেষ সিনিয়র মহিলা সাফের ফাইনালেও নেপালের বিপক্ষে গোল করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই আকলিমা নেপালের কিপারকে একা পেয়েও বল মারেন তার গায়ে।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়া নেপাল খেলায় ফেরার চেষ্টা করে। সেই সফলতা তারা পায় ২৪ মিনিটে। কর্নার থেকে আসা বল হেডে ক্লিয়ার হলেও বক্সের ভেতর থেকে নেয়া শটে গোল করেন মানমা দামাই। তার শট পোস্টে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে।

এরপর বাংলাদেশ লিড ধরে রেখেই খেলার চেষ্টা করে। আর নেপাল সমতার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো দলই গোল পাচ্ছিল না। এরই মধ্যে প্রথমার্ধে মাথায় আঘাত পাওয়া শামসুন্নাহার বিরতির পর আর মাঠ নামেননি। স্মৃতি শক্তিও হারান। পরে কিছুটা উন্নতি হলেও নেয়া হয় হাসপাতালে। তার অনুপস্থিতি দলকে ভোগায়। বাংলাদেশ দল এই সময়ে ফ্রি-কিকে প্রান্তির সরাসরি শটে গোলের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিপক্ষের শেষ প্রহরীর বাধায় বল জালে যাচ্ছিল না। অবশেষে ৯১ মিনিটে রিপার দূর পাল্লার শটে পরাস্ত নেপালের কিপার কবিতা বি কে। বল তার হাতে লেগে জালে যায়।

ম্যাচ শেষে কোচ ছোটন জানান, আমাদের পরিকল্পনাই ছিল পেছন থেকে করা পাসে গোল করা। এতে আমরা সফল।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট