ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ । আজ বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ২২ দিন দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে।
বুধবার রাজধানীতে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘ইলিশ শুধু আমাদের জাতীয় সম্পদই নয়, এটি জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যও। অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ইলিশ উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সবার অবদান রয়েছে।’
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীরাই সেসব ইলিশ আহরণ করবেন। এর সুফলও তাঁরাই পাবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কখনো বিপন্ন না হয়, সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply