1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

বিশেষ প্রণোদনা পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩
  • ১৪৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বিষয়ক আলোচনায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী যারা আছেন, তাদের বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ এই আপৎকালীন সময়ে প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি। আশা করি অর্থমন্ত্রী এ বিষয়টি গ্রহণ করবেন। আমরা ৫ শতাংশ মূল বেতন বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে তাদের দেব।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে একটা লোক দেখান যে, নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করবে; একটি মানুষ দেখান। সে রকম কোনো নেতৃত্ব আপনারা যদি দেখাতে পারেন আমার কোনো আপত্তি নেই। আমরা জানি, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশকে উন্নত করতে হলে, আমাদেরই দরকার। তাই জনগণকে এটিই বলব, বার বার আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, দেশের সেবা করতে পেরেছি বলে আজকে আমরা দেশটাকে এই উন্নয়নের ধারায় নিয়ে আসতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। আজকে বেকারত্বের সংখ্যা মাত্র তিন ভাগ।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে বিজয়ী জাতি বাঙালি মাথা উঁচু করেই চলবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ এতদিনে অনেক দূর, অনেক উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতে পারত। তবে আমি বলব এখানে ভয়ের কিছু নেই। সময় সময় সমস্যা তো আসেই। এটা দেখে ঘাবড়ালে চলবে না, এটা মোকাবিলা করতে হবে। কোভিডের সময় আমরা অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আমরা প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং যুদ্ধজনিত মুদ্রাস্ফীতি তারই প্রভাব পড়েছে আমাদের ওপরে। কিছুটা আমাদের প্রবৃদ্ধি কমলেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। আমরা যথেষ্ট ভালো স্থানেই আছি। আমরা অর্থনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমে একটি ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। ধারাবাহিকতায় গত সাড়ে ১৪ বছরে এ অর্জন এটা কিন্তু চট করে লাফ দিয়ে পরিনি। আমরা ধীরে ধীরে অর্জনটা করতে সক্ষম হয়েছি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিময় হারের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশি মূল্যে পণ্য কিনতে গিয়ে আমাদের রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে। টাকার মান কমে গেছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমাদের প্রচেষ্টা করছি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার।

শেখ হাসিনা বলেন, ভর্তুকি ব্যয় কমানোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে জ্বালানির মূল্য সামঞ্জস্য করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম সামঞ্জস্য করা হয়েছে। কাজেই এটা আমাদের করতেই হবে সময়ে সময়ে। জ্বালানিখাতে ফর্মুলাভিত্তিক মূল্য সমন্বয় স্থায়ী পদ্ধতি নির্ধারণে নকশাও আমরা তৈরি করছি। বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাদের মোট ঋণ আন্তর্জাতিক টেকসই ঋণ ব্যবস্থাপনার মাপকাঠির বেশ নিচেই রয়েছে। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিরাময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যুতের একটা অভাব ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন ও স্যাংশনের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যায়। এমনকি কয়লা, এলএনজি বা তেল পাওয়াও যাচ্ছিল না। যাই হোক সেটা থেকে আমরা মুক্ত হচ্ছি। সবাইকে এটাই বলব বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ সেটা তো সবাইকে দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আর কত ভর্তুকি আমরা দেবো, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। কাজেই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হবেন সেই আহ্বান জানাই।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট