বৃষ্টির মৌসুম বর্ষাকালের প্রথম মাস আষাঢ় শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। আশায় বুক বেঁধেছিল মানুষ বৃষ্টির জন্য। তবে হয়নি। বরং সকাল থেকে সূর্যদহনে আষাঢ়েও তেতে উঠে রাজশাহী। প্রকৃতির এ রুক্ষতায় দিশেহারা মানুষ। গত কয়েকদিনের মতো গরম দিয়েই শুরু হয়েছে আষাঢ়ের যাত্রা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ি, বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দীর্ঘ এমন টানা তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা এমন তাপদাহে বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছে। একটানা কাজ করতে পারছেন না তারা।
গ্রীষ্মের পর আষাঢ়েও তীব্র সূর্য দহন শুরু হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। সকাল থেকে দিনভর কাঠফাটা রোদে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। প্রচন্ড গরমে তেঁতে উঠছে কলের পানি। দুপুর গড়াতেই খাঁ খাঁ করছে পথ-ঘাট। প্রকৃতি যেন তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তির ছিটেফোঁটাও নেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং।
ওষ্ঠাগত গরমে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। সারাদিন দাবদাহ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরমে মানুষের প্রাণ এখন ওষ্ঠাগত। দিনভর তীব্র সূয্য দহরে সবুজ বৃক্ষরাজি তামাটে বর্ণ ধারণ করতে চলেছে। রাজশাহীর নগরের দক্ষিণে থাকা পদ্মাপাড় থেকে ধূলিকণাগুলো যেন আগুনের স্ফূলিঙ্গ হয়ে উড়ে এসে পড়ছে মানুষের শরীরে।
তবে পরিবেশ বিজ্ঞানিরা বলছেন, আঞ্চলিক কোনো সমস্যার কারণে আবহাওয়া এমন বিরূপ হয়ে ওঠেনি। এটা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কু-প্রভাব। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে তাপমাত্রা।
গবেষকরা বলছেন ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূ-পৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়ছে। এটা আঞ্চলিক কোনো সমস্যা নয়। আমাদের কারণেই দিন দিন প্রকৃতি এমন খেয়ালি হয়ে উঠছে। অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রয়োজন থাকলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না।
এদিকে রাজশাহী আহবাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া গত বুধবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
Leave a Reply