বৈশাখের অর্ধেক পেরিয়েছে। মাত্র ১০ দিন পরেই ফলের মাস জ্যৈষ্ঠ শুরু। ওই মাসের প্রধান আকর্ষণ আম। তবে জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে ফলের রাজা আম। যদিও সীমিত পরিসরে বিক্রি হচ্ছে পাকা আম। এখনো জমে ওঠেনি আমের বিক্রি। দামও নাগালের বাইরে।
বাজারে দেশীয় জাতের আম সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া দেখা মিলছে বারোমাসি আম কাটিমনের। সাতক্ষীরা ও রাজশাহী অঞ্চল থেকে আসে ওই আম। এর বাইরে ভারতীয় জাত গোপাল আম পাওয়া যাচ্ছে কোনো কোনো দোকানে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ আম প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৬০ টাকা। আর বারোমাসি আম কাটিমনের দাম ২০০-২৩০ টাকা। অন্যদিকে ভারতের গোপালের দাম ২৮০-৩০০ টাকা। এছাড়া কাঁচা টক-মিষ্টি আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।
সরবরাহ কম থাকায় এখনো জমে ওঠেনি আম বিক্রি। চাহিদাও তেমন নেই বলে জানিয়েছেন ফল বিক্রেতারা। যে কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে ভ্রাম্যমাণ ও ফলের দোকানে এখনো সেভাবে আমের দেখা মিলছে না।
রামপুরার ফল বিক্রেতা মো. মাসুম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে আম আসতে শুরু করেছে। তাই আমের বাজারও সেভাবে জমেনি। এক থেকে দুই সপ্তাহ পর অন্যান্য জাতের আম বাজারে আসা শুরু করলে বিক্রি বাড়বে।
অন্যান্য ফলের চাহিদার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য ফল মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। তবে রোজার পর ফলের বিক্রি কমে গেছে। বর্তমানে ফলের চাহিদা থাকলেও দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। যেমন- বেদেনা ৪০০-৪৫০ টাকা, আঙুর (সাদা) ২০০-২৫০ টাকা, আঙুর (কালো) ৪০০-৪৫০ টাকা, মাল্টা ২০০-২৩০ টাকায় ও আপেল ২৮০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মুধবাগ বাজারে আসা ক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে আম এসেছে। দাম অনেক বেশি। তাছাড়া কেমিক্যালের ভয়ে কিনছি না। আপেল, মাল্টা ও আঙুরের যে দাম তাতে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কম কিনবে।
অন্যদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আজ (৪ মে) থেকে রাজশাহীর গুটি আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ মে থেকে গোপালভোগ আম সংগ্রহ শুরু হবে। ২০ মে থেকে লক্ষণভোগ ও রানীপছন্দ আম সংগ্রহ শুরু হবে। ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত আম সংগ্রহ শুরু হবে। ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপালি, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি আম ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম সংগ্রহ শুরু হবে।
Leave a Reply