1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

দাম বাড়ায় গোদাগাড়ীতে কৃষি অফিসারের সহযোগিতায় সার মজুতের অভিযোগ

গোদাগাড়ি প্রতিনিধি :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৯০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে দেশে সব ধরনের সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত সোমবার (১০ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কৌশলে কিছু কৃষককে আগের দামে ডিলারের কাছে সার কিনে অন্য দোকানে মজুত করে বাড়ীতি দামে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। এই কাজে উপজেলার কাকনহাট ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জড়িত বলে বলে অভিযোগ করেন ওই এলাকার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক কামাল সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, কাকনহাট ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম কাকনহাট দরগাপড়া এলাকার বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতা ইবলুল হাসানের সাথে সখ্যতা আছে। তাকে ব্যবসায়ীক ভাবে লাভবান করতে কিছু কৃষককে দিয়ে বিসিআইসি ডিলার তুহিনা আক্তারের নিকট থেকে তাদের সারের প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও সার কিনতে পাঠায়। সেই কৃষকদের পক্ষে সার দেওয়ার জন্য উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সুপারিশ করেন। তার সুপারিশে ডিলার তুহিনা আক্তার সরকার নির্ধারিত দামে মেমো দিয়ে সার দেয়। কৃষকরা এক জোট হয়ে কৌশলে দুজনে মিলিয়ে একটি-দুইটি করে বস্তা ক্রয় করে। এবং তারা একটি মেমো গ্রহণ করে। পরে ওসব কৃষকরা উপসহাকরি কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশ মতে বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতা ইবলুল হাসানের দোকানে গিয়ে দেয় এবং সেগুলো দোকানে মজুত রাখে। মজুত করা সারের বস্তা গুলো ইবলুল হাসানের দোকানে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ছিলো। তবে বৃহস্পতিবার সকালে দোকানে আর দেখা যায়নি। মজুত করার ঘটনা জানাজানি হলে তা কৌশলে সরিয়ে ফেলেছে। তবে সার মজুত রাখার ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

জানা গেছে গত বুধবার (১২ এপ্রিল) ওই এলাকার বিসিআইসি ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেডার্সের দোকান থেকে দরগাপাড়ার কৃষক সেলিম ও রাসেল একটি মেমোতে ২বস্তা ডিএপি ও ১ বস্তা পটাশ ক্রয় করে তার ক্রয় মূল্যর ২৩৫০ টাকা মেমো গ্রহণ করেছেন। একই কায়দায় কৃষক সোহেল ও মোতাহার সমপরিমাণ সার ক্রয় করে মেমো গ্রহণ করেছেন।

কাকনহাট দরগাপাড়া এলাকার কৃষক সুজন জানান, কৃষি উপসহাকরি কর্মকর্তা আশরফুলের সাথে বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতা ইবলুল হাসানের সাথে দহরমমহরম সম্পর্ক । আশারফুল ইসলাম নিজে ইবলুল হাসানকে চাঙ্গা করে দিলো। কিভাবে চাঙ্গা করে দিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের যখন সার-বীজ প্রনোদনার জন্য আসে তখন আশারাফুল ইবলুল হাসানের হাতদিয়ে আইডিকার্ড ফটোকপি নিয়ে জামা দেয়। এগুলো ইবলুল হাসান তুলে দোকানে বিক্রি করে। ইবলুল হাসান এসবতো কিছুই জানতো তা আশারাফুল এসব তাকে শিখিয়েছে। তার সাথে আশারাফুলের ব্যবসায়ীক পার্টার রয়েছে। কৃষক সুজন আরো অভিযোগ করেন, তার সার বিক্রির অনুমতি না থাকলেও আশরাফুলের সাতে সুসম্পর্ক থাকায় সে তা বিক্রি করে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতা ইবলুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি গত বুধবার তিন বস্তা সার সামাদের কাছ থেকে কিনেছিলাম। কোন কৃষকের সাথে সার কিনে দোকানে রাখিনি। এককৃষক আমার দোকানের সামনে কিনে রেখেছিলো সে বাড়ী নিয়ে চলে গেছে। আমি অল্পকরে কৃষকের কাছে বিক্রি করি। সার বিক্রির আপনার অনুমতি নেয় কিভাবে বিক্রি করেন এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, যারা সবজি চাষ করেন তারা অল্প করে নেয় আর আমি বিক্রি করি।

কাকনহাট ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুলের সাথে এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সত্য না। আমি সার কৃষকদের পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করি। আমার সাথে তার কোন পার্টনারশীপ বা অন্যকোন সম্পর্ক নেই।

এসব বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, ওই এলাকায় কিছু সমস্য আছে। আশারাফুল সাহেব এসব করার কথা না। তবে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি ও অফিসার পাঠাচ্ছি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট