ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারি রোধে পিওসি (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিনের মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করতে প্রথমদিনে কিছুটা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
বুধবার (১ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে ষ্টেশনে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তবে প্রথমে নতুন নিয়ম বুঝতে সমস্যা বা জানতে না পারলেও টিকিট কালোবাজারি রুখতে এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রীরা।
সিরাজগঞ্জের জন্য টিকিট নিতে আসা এক নারী যাত্রী বলেন, জাতীয় পত্রদিয়ে নিজের টিকেট নিজেই ক্রয় করতে হবে এটা আমাদের জানাছিলো না। টিকিট নিতে এসে কাউন্টারে আসলে তারা বিষয়টি জানালে বাইরের একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে কাগজ নিয়ে এসে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছি।
আরেক যাত্রী বলেন, নতুন পদ্ধতিতে টিকিটের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করে সব প্রসেস সম্পন্ন করা হয়েছে । প্রায় ২ ঘন্টা হয়ে গেলেও ফিরতি কোন এসএমএস আসেনি। ফলে আমার জন্য এটি দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রেলষ্টেশনে বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নতুন নিয়মে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে টিকিট ক্রয়ের বিষয়টি আমাদের আগে থেকে কারো জানা ছিলো না। আমরা এখানে এসে জানতে পেরে নিজেরা চেষ্টা করছি টিকিট ক্রয়ে। তবে টিকিট পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
যাত্রীরা আরো জানান, হঠাৎ এই পদ্ধতি চালু হওয়াতে আমরা সমস্যায় পড়েছে । এজন্য আগে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে সকলের জন্যই ভালো হতো বলে জানান।
রাজশাহী রেলষ্টেশনের ম্যানেজার আব্দুল করিম বলেন, এটি নতুন পদ্ধতি না আগে থেকেই চালু আছে। তবে কাউন্টারে আজ থেকে কার্যক্রর করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনলাইনের রেলের পরিসেবায় ঢুকে যাত্রীরা নিজের এনআইডি দিয়ে টিকের ক্রয় করতে পারবে। অন্যকেউ টিকেট কাটার সুযোগ নেই।
জাতীয় পরিচয় পত্রদিয়ে টিকেট ক্রয়ে রেজিষ্ট্রেশন করলে একটি কোড যাবে সেই কোডে প্রবেশ করে টিকিট ক্রয়ে কনফার্ম হবে। ফলে অন্যকেউ টিকেট ক্রয়ের সুযোগ পাবে না। আগে ষ্ট্রেশনে গিয়ে যাত্রীরা দেখতে টিকিট পেতো না বা অনলাইনে টিকেট আগেই বুকিং হয়ে গেছে এমন দেখা যেতো এখন এটা হবে না বলে জানান। ফলে এই পদ্ধতিতে টিকিট কালোবাজারি রোধ করা সম্ভব বলে জানান।
এছাড়াও ট্রেনে টিকিট চেকিং এর জন্য পিওসি (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিনের মাধ্যমে দেখা হবে বলে জানান।
Leave a Reply