1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভে দুবাই থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টায় কিছু বাংলাদেশি মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়েন। মানবপাচারকারীরা তাদের থাইল্যান্ডের নেওয়ার কথা বলে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দি শিবিরে নিয়ে যায়। অবশেষে মিয়ানমারে অবস্থিত বন্দি শিবিরে আটকা ১৯ বাংলাদেশিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইয়াঙ্গুন এবং ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের মুক্ত করা হয়।  মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত করা ১৯ বাংলাদেশি নাগরিককে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রাতেই এসব বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত অর্থ কামানোর লোভে এই বাংলাদেশিরা দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যান। থাইল্যান্ডের নামে এই বাংলাদেশিদের মানব পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট  অঞ্চলের বন্দি শিবিরে নিয়ে যান। এসব বন্দি শিবিরগুলো মূলত মিয়ানমারে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৩০টি বন্দি শিবির রয়েছে। থাইল্যান্ড-মিয়ানমার যৌথ বাহিনী অতি সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে এরকম ৪/৫টি বন্দি শিবির গুড়িয়ে দিয়েছে। এসব বন্দি শিবিরে আইটি খাতের লোকজনদের অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জোরপূর্বক কাজ করানো হয়, অনেক সময় টার্গেট পূরণ করতে না পারলে নির্যাতন করা হয় এবং এসব বন্দি শিবিরের এলাকা থেকে কাউকে বাইরে বের হতে দেওয়া হয় না।

সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এসব বন্দি শিবির থেকে চীনের প্রায় ৬ হাজার নাগরিক, ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৪০০ জন এবং ভারতের ২৮৫ জন নাগরিকদের উদ্ধার করে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা সম্ভব হয়েছে।

সম্প্রতি ভিয়েতনাম ও হংকংয়ে চাকরির প্রলোভনে ভিজিট ভিসায় গমন করে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সেজন্য নৌপথে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড অথবা ইন্দোনেশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রস্তাব পেলে অবশ্য যাচাইপূর্বক গমন করার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় কূটনীতিকরা।

স্থানীয় এক কূটনীতিক জানান, সম্প্রতি মানবপাচারের এই রুটে গমন করে বেশকিছু বাংলাদেশি নাগরিক অস্ট্রেলিয়ান কোস্টগার্ড হাতে আটক হয়ে দেশে ফেরত এসেছে। নাবিকদের লাইসেন্স নকল করে জাহাজে করে বিভিন্ন দেশের বন্দরে এনে মাফিয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ৪১ জন বাংলাদেশিকে এভাবে ইরানে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি একটি দালালচক্র ওমরাহ ভিসার মাধ্যমে এদেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে নিয়ে অবৈধ কাজে অন্তর্ভুক্ত করছে বা ভিজিট ভিসায় রাশিয়ায় নিয়ে জোরপূর্বক ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়োজিত করার মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। অতিরিক্ত অর্থের লোভ সামলে সঠিক নিয়ম মেনে বাংলাদেশি নাগরিকদের জেনেশুনে বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ কূটনীতিক।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট