1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

এএফপির রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের ক্রোধ এড়ানোর দিকে নজর মোদির

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি মার্কিন মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ও শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃত্ব এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মোদি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, প্রায় তিন দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল থেকে যখন যিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তারা চীনের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক মার্কিন অংশীদার হিসেবে ভারতের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

বৈঠকের পর মোদি ট্রাম্পের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনও করবেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য এটা বেশ বিরল একটি পদক্ষেপ। কারণ তিনি বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী হলেও খুব কমই সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেন এবং সেগুলোর জবাব দেন।

১৬০০ সিসির বেশি ইঞ্জিনের হেভিওয়েট মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ছোট মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ওই শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকিতে উদ্বিগ্ন ভারত?

ভারতের বাজারে আমেরিকান হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেলের প্রবেশের বিষয়টাকে আরও মসৃণ করার জন্য এটা একটা আগাম পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, দিল্লি আশা করছে এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুল্ক সংক্রান্ত কোনও যেকোনও রকম হুমকি এড়াতে সাহায্য করবে। কারণ আইকনিক আমেরিকান ব্রান্ড হার্লে-ডেভিডসন মোটারবাইকের ভারতে সংগ্রামের বিষয়টি ট্রাম্পকে বিরক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। সেই সময় হার্লে ডেভিডসনের ওপর ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ককে “গ্রহণযোগ্য নয়” বলে ভারতের নিন্দা করেছিলেন।

শিকলে বেঁধে ভারতীয়দের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত, যা বলছেন জয়শঙ্কর

এছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ হিসাবে ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে শতাধিক অবৈধ ভারতীয়কে হাত-পা শেকলে বেঁধে সামরিক বিমানে করে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে এবং নয়াদিল্লি তা গ্রহণও করেছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে নিজস্ব “শক্তিশালী ক্র্যাকডাউনের” প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ভারত।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন, উভয় নেতার মধ্যে “খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক” রয়েছে, যদিও তাদের এই সম্পর্ক বহুল-আকাঙ্ক্ষিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিতে এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে “ভালো বন্ধু” আখ্যায়িত করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি।

ট্রাম্প-মোদির আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য, শুল্ক ও ভিসা নীতি

গত প্রায় তিন দশক ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ক্রমবর্ধমান শক্তি হয়ে ওঠা চীনের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক অংশীদার হিসেবেই ভারতের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কিন্তু (নিজের প্রথম মেয়াদে) ট্রাম্প বাণিজ্য নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমনকি অতীতে তিনি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতকে “সবচেয়ে বড় শুল্ক অপব্যবহারকারী” বলেও অভিহিত করেছিলেন।

মূলত দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ট্রাম্প মিত্র এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে ট্যারিফকেই ব্যাপকভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চলেছেন।

‘ট্রাম্পের ক্ষোভ’

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডিরেক্টর ছিলেন লিসা কার্টিস। তিনি বলছেন, নরেন্দ্র মোদি “এর (ট্যারিফ) জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন এবং তিনি ট্রাম্পের ক্রোধ দূর করতে চাইছেন।”

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকার ইতোমধ্যে ট্রাম্পের আরেকটি শীর্ষ অগ্রাধিকারের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে। আর তা হলো: অনথিভুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন। যদিও অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জনসাধারণের মনোযোগ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ওপরেই রয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মেক্সিকো এবং এল সালভাদরের পরে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের তৃতীয় বৃহত্তম উৎস হচ্ছে ভারত।

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন এই সফরে মোদির হয়তো একটি জিনিস এড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তা হলো— মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তার রেকর্ডের প্রতি কোনও ফোকাস না থাকা। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই বিষয়ে ভারতের কিছুটা সমালোচনা করলেও এবার এই বিষয় সামনে আসার সম্ভাবনা নেই।

ইসরায়েল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী এবং জর্ডানের বাদশাহের পর মোদি হতে চলেছেন চতুর্থ বিশ্বনেতা যিনি ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে চলেছেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দেশীয় জোট কোয়াডের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ট্রাম্প এই বছরের শেষের দিকে ভারত সফর করতে পারেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট