বিশ্ব সেরা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা এখন বাংলাদেশে। ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেডের চতুর্থ ইউনিটকে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) মান সনদে শীর্ষ তালিকায় রাখা হয়েছে। কারখানাটি ইউএসজিবিসির মানদণ্ডে ১১০ নম্বরের মধ্যে ১০৪ পেয়েছে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে।
গ্রিন টেক্সটাইল দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত পোশাক খাতের একটি কারখানা। এটির মালিকানায় রয়েছে পোশাক খাতের হংকংভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি এপিক গ্রুপ ও বাংলাদেশের এনভয় লিগ্যাসি। এনভয় লিগ্যাসির পক্ষে গ্রিন টেক্সটাইল পরিচালনায় রয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, পোশাক খাতের জন্য এটি একটি সুখবর। আরেকটি সুখবর হচ্ছে শীর্ষে ১০ কারখানার ৮টিই বাংলাদেশের। বাকি দুটির একটি ইন্দোনেশিয়ার ও একটি শ্রীলঙ্কার।
এর আগের ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর বিশ্বের সেরা পরিবেশবান্ধব কারখানাটি ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। এবার কারখানাটি ১১০ নম্বরের মধ্যে ১০১ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
শীর্ষ ১০টি তালিকার বাকি ৭টি কারখানার হচ্ছে, রেমি হোল্ডিংস, ফতুল্লা অ্যাপারেলস, তারাসিমা অ্যাপারেলস, প্লামি ফ্যাশনস, সিল্কেন সুইং, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশি কারখানাটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শীর্ষ ১০০ কারখানা ৫২টিই বাংলাদেশের ইউএসজিবিসির তালিকায়, বিশ্বের পরিবেশবান্ধব শীর্ষ ১০০ কারখানার মধ্যে ৫২টিই বাংলাদেশের। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীনের রয়েছে ১০টি কারখানা। এরপর পাকিস্তানের আছে ৯টি কারখানা। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের আছে ৬টি করে ১২টি কারখানা। ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের আছে ৪টি করে ৮টি কারখানা। বাকিগুলো অন্যান্য দেশের।
উল্লেখ্য, ইউএসজিবিসি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল। পৃথিবীজুড়ে এটি পরিবেশবান্ধব ভবন ও কারখানা নির্মাণে পরামর্শ ও সহায়তা করে থাকে। এমনকি পরিবেশবান্ধব কারখানা বা স্থাপনার তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ডও রয়েছে তাদের। সংস্থাটির দেওয়া সনদ এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্বের বড় বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এ সংস্থার সনদকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে। এ জন্য ইউএসজিবিসির সনদকে এ দেশের শিল্প উদ্যোক্তারাও বেশ গুরুত্ব দেয়।
Leave a Reply