1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

পানির নিচে কক্সবাজার শহর, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে টেকনাফ ও উখিয়ায় অন্তত ১০০ গ্রামের মানুষ।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৭ ঘণ্টায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০১ মিলিমিটার। এর আগে ২০১৫ সালের ২৪ জুন এক দিনের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল ৪৬৭ মিলিমিটার। এই ভারী বর্ষণ কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বালেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে বৃষ্টি  অব্যাহত থাকায়  কক্সবজারের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রধান সড়কসহ শহরের ৫০টি উপসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধসে কক্সবাজার সদরে এক পরিবারের তিনজন এবং উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃষ্টিতে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অধিকাংশ পর্যটক অবস্থান করছেন হোটেল কক্ষে। আবার অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটছেন সাগরে। সাগরের লোনা জলে গা ভাসাচ্ছেন অনেকেই। পর্যটকরা জানান, সৈকতের বর্ষাকালীন সৌন্দর্য অন্যরকম। আবার অনেকেই বৃষ্টি কারণে বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।

কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, টানা ভারী বর্ষণে হোটেল মোটেল জোনের অনেক হোটেলে পানি ঢুকেছে। প্রধান সড়কসহ অনেক সড়ক তলিয়ে গেছে। যার কারণে অনেক পর্যটক হোটেলে বন্দি। পর্যটকদের রুম ভাড়া ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, ভারি বৃষ্টিতে টেকনাফ ও উখিয়ার অন্তত ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের ৬০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। টেকনাফ সদর, হোয়াইক্যং, হ্নীলা, বাহারছাড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। উখিয়ার রাজাপালং, জালিয়াপালং, হলদিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের আর ২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়া তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের ত্রাণ তৎপরতা দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকা পানির নিচে। কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এবং ঝিলংজায় পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট