রাজশাহী-তানোর আঞ্চলিক সড়কের দুয়ারী-তেঘর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারী রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাবেশে যোগদানের আগে বায়া থেকে তানোর হয়ে ধামধুম পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা হয় কিন্তু দুয়ারি থেকে তেঘর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করা হয়নি।
এদিকে উদ্বোধনের পর এই ৩ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেমার্স আব্দুল খালেক এ্যান্ড সন্স। তার কাছ থেকে কাজের কার্যাদেশ কিনে নেয় মেসার্স রুদ্র এ্যান্ড সন্স বলে জানান নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার সংস্কার কাজে পুরাতন ইট-বালীসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্ত করে সিডিউল মোতাবেক কাজ করানোর দাবি তুলেছেন জনসাধারণ।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তার এজিং নির্মাণে পুরাতন ইট ও মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে, এসময় সেখানে উপজেলা এলজিইডি’র কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।
এসময় ঠিকাদারের লোক পরিচয় দিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, তিনি হুকুমের গোলাম, তাকে যে ভাবে বলেছে সেভাবে করা হচ্ছে।
এবিষয়ে পবা উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন জানান, কাজের বিষয়ে মনে নেই, সঠিক তথ্য জানতে হলে অফিসে আসতে হবে। এজিংয়ে পুরাতন ইট খোয়া ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান কিভাবে হবে বা হচ্ছে সেটা আমরা দেখবো, তাছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মুকসেদ আলী জানান, যেভাবে সিডিউলে আছে সেভাবে কাজ করা হচ্ছে।
খালেক এন্ড সন্স কাজ পেয়েছে আপনি কি ভাবে করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, যে ভাবে হয় সে ভাবে করা হচ্ছে।
এবিষয়ে জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ জানান, পুরাতন খোয়া ধূলা ব্যবহার করা যাবে না আমি দ্রুত লোক পাঠাচ্ছি।
এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, রাস্তার কাজে কোন নতুন কিছু ধরা নাই, পুরাতন মালপত্র দিয়েই কাজ করতে হবে। তারপরও আমরা রাস্তার কয়েক জায়গায় গর্ত আছে সেখানে নতুন ইটের খোয়া দিতে বলেছি, তার জানামতে কাজটি খালেক এন্ড সন্স পেয়েছে করছে ঠিকাদার মুকসেদ, তবে যেভাবে সিডিউলে আছে সেভাবেই করছে।
Leave a Reply