সুনামগঞ্জে রাতভর বৃষ্টি ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে দ্বিতীয় ধাপে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এরইমধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। প্রথম দফার বন্যার ক্ষত শুকানোর আগেই ফের বন্যার কবলে পড়ছেন সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
লঞ্চঘাট এলাকার ব্যবসায়ী তামিম জানান, নদীতে প্রবল স্রোত তার সঙ্গে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে লঞ্চঘাট এলাকার রাস্তায় পানি দেখা যাচ্ছে। আবার ভোগান্তি পোহাতে হবে মনে হচ্ছে।
ইব্রাহিমপুর এলাকার বাসিন্দা আনিস জানান, গত সপ্তাহের পানির ক্ষত এখনো শুকায়নি, এর মধ্যে আবার পানি বাড়ছে। যে অবস্থা শুরু হয়েছে বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাতে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বাড়বে। একইসঙ্গে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এই নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৮৬ মিলিমিটার। এদিকে সারারাত সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় কারণে উজানের পানিতে সীমান্তের নিচু সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
Leave a Reply