রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। হাটজুড়ে চলছে শেষ সময়ের বেচাকেনা। কোনো কোনো হাট ফাঁকা হতে শুরু করেছে, আবার কেউ বা বসে আছে বিক্রির আশায়। তবে চিন্তায় পড়েছেন বড় গরুর মালিকরা। হাটের ছোট বা মাঝারি আকারের গরুগুলো বিক্রি হলেও শেষ সময়ে খদ্দেরের দেখা পাচ্ছে না বড় গরু।
রোববার (১৬ জুন) মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ মোড় হাটে সরেজমিন দেখা যায়, অধিকাংশ পশু বিক্রি হয়ে গেছে। যেসব গরু এখনো বিক্রি হয়নি, সেগুলো বিক্রির অপেক্ষায় আছেন ব্যাপারীরা। অনেকে আবার কমিয়ে দিয়েছেন দামও।
কুষ্টিয়া থেকে ১০টি গরু হাটে তুলেছিলেন ব্যাপারী রহিম শেখ। তিনি বলেন, আমার এখনো ৩টা গরু বাকি আছে। কিছুটা লসে হলেও বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি।
আরেক ব্যবসায়ী ২টি গরু নিয়ে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, যে রেট দিছিলাম, তার চাইতে কমায়া দিচ্ছি। তারপরও চাইতেছি গরু বিক্রি হয়ে যাক।
তবে চিন্তায় পড়েছেন আরেক বিক্রেতা শাহীন মিয়া। তার ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল আকারের গরুটি এখনো বিক্রি করতে পারেননি। তিনি বলেন, দাম চেয়েছিলাম সাড়ে ৪ লাখ। পরে ৪ লাখে দাম নামিয়েছি, কিন্তু এখনো গরুটি বিক্রি করতে পারিনি। বিক্রি করতে পারব কি না সে চিন্তায় আছি।
তিনি বলেন, আমার অন্যান্য গরুগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু এই বড়টা এখনো বিক্রি হচ্ছে না। এটাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে বিক্রি করতে হলে বিপদের মুখে পড়তে হবে। তাই চাচ্ছি হাটেই বিক্রি হয়ে যাক।
হাটে আসা ক্রেতারাও কম দামের মধ্যে গরু খুঁজছেন। ক্রেতা শাহরিয়ার বলেন, শেষ সময়ে তো কম দামে গরু মিলে যায়। বাজেটে মিলে গেলে কিনে নেব।
৭৫ হাজারে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন এনামুল হোসেন। তিনি বলেন, গরু দাম চাচ্ছিল ৯০ হাজার টাকা। পরে দামাদামি করে ৭৫ এ নিয়ে নিলাম।
অন্যদিকে ছাগলের দামও কমিয়ে দিয়ে বিক্রি করতে চাইছেন বিক্রেতারা। দুটো ছাগল নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষা করছিলেন বিক্রেতা মজিবুর। তিনি বলেন, ১২ হাজারে পেলেই ছাগল বিক্রি করে দিব। কেউ কেউ আসছেন, দামাদামি করছেন। তবে এখনো বিক্রি করতে পারি নাই।
Leave a Reply