বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, সেতু পশ্চিম থেকে উত্তরের মহাসড়কে যান চলাচল একদম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সেতুর পূর্ব পাড়ে যানজট থাকায় সেই গাড়িগুলোকে দ্রুত পার করে নিয়ে আসতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ঢাকাগামী লেন ও টোল আপাতত বন্ধ রেখে চারটি লেন দিয়েই ওপার থেকে গাড়িগুলোকে পার করে আনা হচ্ছে। তবে ঢাকাগামী লেনে বেশি গাড়ি না থাকায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না। সেতু পূর্ব পাড়ের যানজট স্বাভাবিক হয়ে গেলেই সেতুর ঢাকাগামী লেন খুলে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেলের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে যেভাবে পারছেন প্রিয়জনের কাছে ছুটছেন। ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। এদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষই বেশি। ঘরমুখো মানুষকে নিয়ে গন্তব্যে ছুটে চলেছে নানান যানবাহন। মহাসড়কজুড়ে তৎপর থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। তবে এই মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ ওয়াদুদ বলেন, মহাসড়কে গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে। রাত থেকেই এই চাপের পরিমাণটা বেশি। তবে মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট বা ভোগান্তি নেই। সকল গাড়ি একদম নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
তিনি বলেন, শিল্পকারখানা ছুটি হওয়ায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে আশা করছি আগেরবারের মতো মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হবে না। আমরা সবার নিশ্চিত চলাচলে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. জাফর উল্লাহ রুবেল বলেন, মহাসড়কে গাড়ির প্রচণ্ড চাপ রয়েছে তবে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। যে জায়গাতে সমস্যা হতে পারে সেই স্থানগুলো চিহ্নিত করে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। এই ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে আর যানজটের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
Leave a Reply