অবশেষে ইউক্রেনকে অতি শক্তিশালী লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে জার্মানি। আজ বার্লিন ঘোষণা করেছে সে কথা। দীর্ঘদিন ধরেই জার্মানিকে চাপ দিচ্ছিল পশ্চিমের দেশগুলি। আজ বার্লিনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফ্রান্স। শোনা যাচ্ছে, স্পেনও এই লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক পাঠাবে ইউক্রেনে। ফিনল্যান্ড জানিয়েছে, তারা সীমিত সংখ্যক হলেও ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে সাহায্য করতে চায়। ক্রেমলিন জানিয়েছে, পশ্চিম যদি এ ভাবে ট্যাঙ্ক সরবরাহ করে, সেগুলি শেষমেশ যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস করা হবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘‘এটা ওদের ব্যর্থ পরিকল্পনা। এই দিয়ে যদি ওরা ইউক্রেনীয় বাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে ভাবে, তা হলে তা ওদের ভুল ধারণা। বাকি ট্যাঙ্কের মতো এগুলোও পুড়বে। তবে খারাপ লাগছে এটা ভেবেই যে ট্যাঙ্কগুলো খুব দামি।’’ ক্রেমলিন এ-ও জানিয়েছে, জার্মানি যা করতে চলেছে, তার জেরে বার্লিন-মস্কোর সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে চিড় ধরবে।
যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি না নামলেও অস্ত্র ও অর্থ পাঠিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করে চলেছে আমেরিকা-ইউরোপ। জার্মানির সম্পর্কে রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, বার্লিন যে ভাবে লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাতে রাশিয়ার প্রতি তাদের যে ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ রয়েছে, তা নষ্ট করছে তারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও নাৎসি শাসনের অবসানের পরে জার্মানি এই দায়িত্ব-সম্পর্ক তৈরি করেছিল। দূতাবাসের তরফে এ-ও সতর্ক করা হয়েছে, জার্মানির সিদ্ধান্ত পশ্চিমের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে অন্য মাত্রা দেবে।
জার্মানিতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই নেচায়েভ বলেন, ‘‘মারাত্মক বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরা।’’ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক অবশ্য জানিয়েছেন, জার্মানি-সহ নেটোর সদস্য দেশগুলির ইউক্রেনে লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্তএকেবারে সঠিক।
Leave a Reply