1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন

জিম্মি করা জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৯৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’য় অবস্থানরত ৪ সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। ছবিতে জাহাজে টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে। তাদেরকে জাহাজের উপরের অংশে দেখা গেছে।

এক্সের ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।

পরে ভারতীয় নৌ-বাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধ জাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে। ওই দিন সকালে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি সফলভাবে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে দেয়।

পরে, হাইজ্যাক করা ক্রু সদস্যদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।

এদিকে সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা সেই জাহাজটি আজ ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর দিকে সরিয়ে গদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিকে সোমালিয়ার গদবজিরান শহর থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এমভি আব্দুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএমএমওএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমরা এ তথ্য পেয়েছি, যারা জাহাজটির অবস্থান ট্র্যাক করছে।’

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সাড়ে ৩টার দিকে জলদস্যুদের নির্দেশে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নোঙর তুলে ফেলা হয় বলে জানান চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান।

জাহাজটিকে দস্যুদের নতুন কোনো সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে ই-মেইলে এ বার্তা দেন তিনি।

এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা হয়েছিল। একদিন বিরতির পর আবার চলতে শুরু করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’। শুক্রবার সকালে জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে ফেলা হয়। এরপর জলদস্যুরা জাহাজটি চালাতে নির্দেশ দেয়। বর্তমানে জাহাজটি গারাকাত উপকূল থেকে উত্তরদিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিদম বলেন, চিফ অফিসারের মেইল পেয়েছি। জাহাজের ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না এবং এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দমতো কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো দস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার।

জাহাজটি ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটিকে ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে জলদস্যুরা। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট