বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। আজ জারি হতে পারে চলতি মাসের দামের প্রজ্ঞাপন। এ দফায় পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ১৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম লিটারে কমতে পারে ৫ টাকা।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকা প্রকাশ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য হিসেবে সবসময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি রাখা হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই তা কার্যকর করা হবে। এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে।
দেশে জ্বালানি তেলের আমদানি, বিক্রয় ও বিপণন করে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসি। এর মধ্যে অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করে সবসময়ই মুনাফা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ডিজেল বিক্রির উপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে থাকে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করে মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে দাম কমানো হয়।
ভর্তুকি সমন্বয়ের কথা বলে দাম বাড়ানোর পর গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা মুনাফা করে বিপিসি। তার মধ্যে সরকারকে লভ্যাংশ দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও (জুলাই-ডিসেম্বর) ৫০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে সংস্থাটি। এরপরও মূল্য সমন্বয় করা হয়নি।
Leave a Reply