ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা অস্বীকার করেছে সামরিক জোট ন্যাটো। মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটটি বলেছে, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
আল জাজিরা বলছে, আগের দিন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জেনস স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার ন্যাটো দেশগুলোর ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার কথা অস্বীকার করেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ গত সোমবার ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকে বলেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে কোনও ঐক্যমত হয়নি, তবে বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইউক্রেনের মিত্র ২০টি দেশের সঙ্গে এক বৈঠকে ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এই পর্যায়ে কোনও ঐক্যমত নেই… দেশটিতে সৈন্য পাঠানোর জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুই বাদ দেওয়া উচিত নয়। রাশিয়া যাতে জিততে না পারে সেজন্য যা করতে হবে আমরা তা করব।’
রাশিয়া অবশ্য বেশ দ্রুতই ফরাসি এই প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের জবাব দেয়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে ম্যাক্রোঁর ইঙ্গিতকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নতুন উপাদান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের ‘একদম স্বার্থের পক্ষে নয়’। আর সেরকম হলে সেক্ষেত্রে, সংঘাতের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে নয়, (সরাসরি সংঘর্ষের) অনিবার্যতা সম্পর্কে কথা বলতে হবে আমাদের।
এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো সোমবার বলেন, সামরিক জোট ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু সদস্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।
ফিকো দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা সরবরাহের বিরোধিতা করে এসেছেন এবং কিছু সমালোচকের চোখে তিনি রুশপন্থি অবস্থান নিয়েছেন। তবে সোমবার করা নিজের এই মন্তব্যের কোনও বিশদ বিবরণ তিনি দেননি
অন্যদিকে ন্যাটোর সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা অস্বীকার করার সময় স্টলটেনবার্গ আবারও জোর দিয়ে বলেন, সামরিক এই জোট কিয়েভকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘এটি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের যুদ্ধ, স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, ইউক্রেনের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং সেই অধিকার বজায় রাখতে আমাদের সমর্থন করার অধিকার রয়েছে।’
Leave a Reply