এক সময় সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জের মানুষের চালের গুড়া তৈরির একমাত্র মাধ্যম ছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি। ভোরবেলা ঘুম ভাঙ্গতো ঢেঁকিতে চাল ভাঙ্গার শব্দে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আবহমান বায়লার ঢেঁকি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।
ভোরবেলা ঢেঁকির সেই ধুপধাপ শব্দ আর শুনতে পাওয়া যায় না। গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্য ঢেঁকি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি উপজেলার দু’একটি বাড়িতে দেখা গেলেও নেই সেই আগের মতো ঢেঁকিতে চাল গুড়া ভাঙ্গানোর কাজ।
এক সময় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে গৃহস্থ ও কৃষাণিদের ঘরে নতুন ধানের চাল ভাঙ্গা বা চাল গুড়া করা, ফিরনি পায়েস তৈরি করার ধূম পড়ে যেতো উপজেলার কৃষকের ঘরে ঘরে। আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াতো পিঠার মনোমুগ্ধকর সুঘ্রাণ। আধুনিকতার উৎকর্ষে আজ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার এক সময়ের কৃষাণ-কৃষাণিদের ভালো মানের চাল গুড়া করার প্রধান মাধ্যম ঢেঁকি।
Leave a Reply