এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন লালমাটিয়ার বাসিন্দা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা আল-আমিন।
ঈদ ঘনিয়ে আসায় এবারের রমজানে কেনাকাটার যেন আজ ও কালই শেষ সময়। তাই ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরায় উন্মুখ নগরবাসীর অনেকের গন্তব্য যেন মার্কেটগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পান্থপথ, মিরপুর-১ ও মিরপুর-১০ এলাকার সড়ক থেকে ফুটপাতে প্রচণ্ড ভিড়। রাস্তায় যানবাহনের গতি কম থাকায় হাঁটার মানুষের সংখ্যাই যেন বেশি।
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ ঘনিয়ে আসায় কেনাকাটা করতে মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন রাজধানীবাসী। অনেকেই বাড়ি ফেরার আগে আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে ছুটছেন মার্কেটে। যার প্রভাব পড়ছে সড়কে।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মার্কেটমুখী সড়কে ভিড় বাড়ছে। যে কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এর মধ্যে ছুটির দিন হওয়ায় মার্কেটগুলোতে ছুটছেন চাকরিজীবীরাও।
আখতারুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল যাত্রী বলেন, পান্থপথে বসুন্ধরা সিটিতে বেশি ভিড়ের কারণে নিউ মার্কেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। এদিকেও দেখছি সড়কে বেশ চাপ।
মিরপুর-১ শাহ আলী মার্কেটের সামনের সড়ক যেন উন্মুক্ত পথচারীদের জন্য। যানবাহনের চেয়ে পায়ে হাঁটা মানুষের সংখ্যাই বেশি।
সেখানে সন্ধ্যায় কথা হয় রেজুয়ান হোসেন নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামের বাড়িতে যাব। সে হিসেবে কেনাকাটার আজই শেষ ছুটির দিন ও শেষ সুযোগ। সেজন্য বের হয়েছি। আমার মতো চিন্তা করে সবাই মার্কেটে এসেছে। সে কারণে প্রচণ্ড ভিড়।
যোগাযোগ করা হলে ট্রাফিক রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোহেল রানা বলেন, ঈদের আগে নিউ মার্কেটের রাস্তায় প্রচণ্ড চাপ থাকে। আজ ছুটির দিন হওয়ায় চাপ বেশি। তবে সড়কে বিশেষ নজর রাখছি। গাড়ি চলছে, তবে গতি কম। ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। আজ তো তবুও সড়ক সচল আছে, কখনো কখনো নিউ মার্কেটের যানজট চলে যায় ধানমণ্ডি-২৭ ও আসাদগেট পর্যন্ত।
গাউছিয়ার ফুটওভার ব্রিজ বন্ধে সড়কে ধীরগতি
ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, গাউছিয়া মার্কেট পরিদর্শনের পর সেখানকার ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে দিনে হাজার হাজার মানুষ পারাপার হতেন। এখন তারা রাস্তায় নেমে পারাপার হচ্ছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেখানকার সড়কের অবস্থা কী হতে পারে!
ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. হালিমুর হারুন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদ কেনাকাটায় সড়কের অবস্থা ভালো। আজ শুক্রবার হওয়ায় মার্কেটমুখী সড়কে চাপ বেশি। সড়কে আমাদের সর্বোচ্চ জনবল কাজ করছে। যত্রতত্র পার্কিং করতে দিচ্ছি না। ফুটপাতে মালামাল নিয়ে না বসার জন্য ব্যবসায়ীদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। পায়ে হাঁটা পথচারীর কারণে মার্কেটের সামনের সড়কে যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে।
Leave a Reply