1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছাল দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত থাকবে আরো পাঁচ দিন- আবহাওয়া অধিদপ্তর ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ৮ বাংলাদেশি নিহত গাজা যুদ্ধ বন্ধে মিসরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের আলোচনা শুরু রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস উত্তরায় সাংবাদিক পেটানো সেই আকাশ দুই সহযোগীসহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ফাঁকা ঢাকায় চলাচলে স্বস্তি, নেই চিরচেনা যানজট  মব আতঙ্কে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রাজধানীর উত্তরাবাসী, সমন্বয়ক কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত অন্তত ১০

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামাবাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৮৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ খেজুরের রস। শীতকালে ভোরের আলো ফোটার আগেই গাছিরা খেজুর গাছের মাথায় উঠে রস সংগ্রহ করেন।

এ রস দিয়ে তৈরি হয় গুড়, পাটালি এবং নলেন গুড়ের মিষ্টি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খেজুরের রসের প্রাপ্যতা এবং জনপ্রিয়তা উভয়ই কমে গেছে।

বর্তমানে বরগুনা পৌর বাজারে এক লিটার খেজুরের রসের দাম ৭০ টাকা। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত এর চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম। মূলত খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং গাছিদের কমে যাওয়ার ফলে রস সংগ্রহ প্রক্রিয়া অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে। খেজুরের রস হারিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ।

খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া: ইটভাটা, বনভূমি ধ্বংস, ও কৃষি জমি বাড়ানোর কারণে খেজুর গাছ কাটতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

গাছিদের অভাব: পরিশ্রম ও দক্ষতার প্রয়োজন হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম এ পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

পরিবেশগত সমস্যা: জলবায়ুর পরিবর্তন ও দূষণের ফলে রস সংগ্রহের উপযোগী গাছের সংখ্যা কমছে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি: অপরিষ্কার পাত্র ব্যবহার এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই খেজুরের রস পান করা বন্ধ করে দিয়েছেন।

তবে এ ঐতিহ্য রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া গেলে খেজুরের রস আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। নতুন খেজুর গাছ লাগানোর পাশাপাশি পুরোনো গাছ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। গাছিদের প্রশিক্ষণ ও রস সংগ্রহের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও খেজুরের রস ও পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। সঠিক পদ্ধতিতে রস সংগ্রহ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

খেজুরের রস বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও খাদ্য ঐতিহ্যের একটি অনন্য অংশ। এটি সংরক্ষণ করা শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশগত দিক থেকেও জরুরি। যদি সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব।

বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, খেজুর গাছের রস গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। জলবায়ুর পরিবর্তন ও দূষণের ফলে রস সংগ্রহের উপযোগী গাছের সংখ্যা কমছে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কখনো কাজ করিনি, তবে কাজ করা দরকার। দিন দিন এ শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্প পুনরুদ্ধারে সবার সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা থাকবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট