1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে সৈয়দপুর

আবহাওয়া রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১২৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

উত্তরের জেলা নীলফামারীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত আচ্ছন্ন থাকছে। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। আকাশপথেও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। এতে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। এমন আবহাওয়ার কারণে অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষ কিছুটা বিপাকে পড়েছেন।

ইটাখোলা এলাকার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি কৃষিকাজ করি, মানুষের খেতখামারে কাজ করি। গত দুই দিন ধরে যে শীত আর কুয়াশা তার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস। এগুলার কারণে কাজকর্মে যাইতে পারছি না। মানুষের কাজ করে যা পাই তাই দিয়ে সংসার চলে। কিন্তু দুই দিন কাজকাম করতে না পারায় সংসারে অভাব দেখা দিছে। আজ যদি কাজ করতে না পারি তাহলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

রিকশাচালক সোলেমান আলী বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ভাড়া পাই নাই। রিকশা চালাইলে হাত-পা অবশ হয়া যায়। আগে তো প্যাডেল রিকশা ছিল, চালাইলে শরীর গরম হইতো। ঠান্ডার কারণে মানুষজন রিকশায় উঠবার চায় না। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতাও পাই নাই।’

রামনগর এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই শীতের কারণে কোনোকিছু করা যাচ্ছে না। কোনো প্রকার কাজকামও নাই। কীভাবে যে সংসার চালাবো বুঝতে পারতেছি না।’

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান জানান, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশি শিশু ভর্তি হচ্ছে।

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ৬ উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার পিস কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো প্রায় ৫ হাজার মজুদ আছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা দেওয়া হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট