আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। কেউ আবার লেজার থেরাপিরও সাহায্য নেন। আঁচিল কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টিপসে।
আঁচিল এমনিতে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু অনেক সময়ে তা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। হিউম্যানপ্যাপিলোমাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শরীরে ক্রমশ বাড়তে থাকে এই সমস্যা। ছোট-বড় নানা আকৃতির আঁচিলে ভরে ওঠে শরীর। তবে সব ক্ষেত্রে আঁচিল সমান ভাবে বড় হয় না। এক এক জনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ভিন্ন। আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। কেউ আবার লেজার থেরাপিরও সাহায্য নেন। আঁচিল কমাতে এর পাশাপাশি ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টিপসে।
১) অ্যাসপিরিন: অনেকের বাড়িতেই এই ওষুধ থাকে। তবে আঁচিল কমাতে এই ওষুধ খেতে হবে না। প্রথমে ওষুধ গুঁড়ো করে নিন। তার পরে জল মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। সেটি আঁচিলের উপর লাগিয়ে দিন। এ বার গজ দিয়ে ঢেকে সারা রাত রেখে দিন। অ্যাসপিরিনে স্যালিসিলিক অ্যাসিড বলে একটি উপাদান আছে। সেটি সহজেই আঁচিলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। নিয়মিত এই নিয়ম মেনে চললে তবেই পাবেন উপকার।
২) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: ভিনিগারে ভেজানো তুলো আঁচিলের উপর রেখে গজ দিয়ে ঢেকে রাখুন সারা রাত। পর পর পাঁচ দিন করুন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে প্রচুর অ্যাসিড রয়েছে। আঁচিলের সমস্যা কমাতে দারুণ সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।
৩) রসুন: ত্বকের যত্নে রসুন খুবই উপকারী। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গা লাগালেও বেশ উপকার পাবেন।
৪) ভিটামিন ই: ওষুধের দোকানে অল্প দামেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। প্রয়োজন মতো ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল বার করে সেই তেল আঁচিলের উপর লগিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে সারা রাত রেখে দিন। এই ভাবেও উপকার পাবেন।
৫) কলার খোসা: কলার খোসা ছাড়িয়ে আঁচিলের অংশ ঢেকে রেখে দিন সারা রাত। প্রয়োজনে কোনও কাপড় কিংবা টেপ দিয়ে আটকে রাখতে পারেন শরীরের সঙ্গে। এই কাজ করলেও আঁচিলের সমস্যা কমবে।
Leave a Reply