ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার ৭৫০ জনে পৌঁছেছে।
বর্বর এই হামলায় সেখানে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মূলত চার মাস আগে যুদ্ধবিরতির পর লেবাননের ওপর এটিই ইসরায়েল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। ইসরায়েল জানিয়েছে, টায়ার এবং তুলিনে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। কারণ ইসরায়েলি শহর মেটুলা লক্ষ্য করে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে সেই হামলার দায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে ইয়েমেনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকা ইয়েমেনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। হোদেইদা বিমানবন্দরে তিনটি এবং লোহিত সাগরের আল সালিফ বন্দরে আরেকটি হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪৯ হাজার ৭৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা আপডেট করে বলেছে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ফিরে আসার দাবিতে হাজার হাজার ইসরায়েলি তেল আবিবের রাস্তায় নেমে এসেছেন। একইসঙ্গে তারা গাজা ভূখণ্ডে আটক অবশিষ্ট বন্দিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানাচ্ছেন।
ইসরায়েলি মিডিয়া অনুসারে, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
Leave a Reply