রাজশাহী বরেন্দ্র অফিসে টাকার বিনিময়ে সরকারী নিয়ম-নীতি অমান্য করে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উক্ত নিয়োগে পরিকল্পনা মন্ত্রানালয়ের ২০১৬ সালের ২০১০/০৪ নং স্মারক মোতাবেক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের বিধান থাকলেও তা অমান্য করে অবৈধভাবে নাজমুল হুদাকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
২০২২ সালে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অফিসের সরকারি কর্মকর্তারা নতুন নির্ধারিত অফিস সময় কতটা মেনে চলছেন তা সরাসরি সম্প্রচার করার সময় এটিএন নিউজের দুই সাংবাদিকদের পেটান সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া এই প্রকল্প পরিচালক নাজমুল হুদা। ওই সময় নির্বাহী পরিচালক মো: আব্দুর রশিদের নির্দেশে সাংবাদিকদের পেটান নাজমুলসহ বিএমডিএর স্টোর কিপার ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ এবং বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদের গাড়িচালক আবদুস সবুর। সাংবাদিক পেটানো মামলায় জীবন ও আব্দুস সবুর হাজতবাস করলেও নাজমুল হুদা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পরবর্তীতে তিনি নির্বাহী পরিচালকের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো: আব্দুর রশিদ অনৈতিকভাবে অর্থের বিনিময়ে ষষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা এই নাজমুল হুদাকে সরকারি প্রকৌশলী পঞ্চম গ্রেডকে ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ সেচ সম্প্রচারণ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে প্রস্তাব প্রেরণ করেন এবং পরবর্তীতে সিনিয়রদেরকে বাদ দিয়ে তদবির করে জুনিয়র অফিসার নাজমুল হুদাকে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে ৫২০ কোটি টাকার প্রকল্পে নিয়োগ প্রদাণ করেন।
এছাড়া নাজমুল হুদা, টনি নামে তার একজন ভাতিজার সাথেও ব্যবসা করেন এবং নিজের লোকজনকে টাকার বিনিময় কাজ দিয়ে থাকেন।
জুনিয়র কর্মকর্তা নাজমুল হুদা (নির্বাহী প্রকৌশলী চলতি দায়িত্বকে) প্রকল্প পরিচালক বানানোর ফলে সিনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর নির্বাহী পরিচালক মো: আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply