রাজশাহীর পদ্মার ওপারের একটি গ্রাম চর মাজারদিয়ার। এপারের শহর থেকে অনায়াসে দেখা যায় গ্রামটি। তবে দুটি নদী ও মাঝখানে সাড়ে ছয় বর্গ কিলোমিটারের একটি চর পেরিয়ে যেতে হয় ওই গ্রামে।
ভরা বর্ষায় পদ্মা যৌবনা থাকলে নদীপথে যাতায়াত করা যায় সহজে। তবে বছরের বেশিরভাগ সময় পদ্মা থাকে মরা খালের মতো। ফলে পদ্মায় পানি না থাকায় শহরের সঙ্গে যোগাযোগে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের।
চিকিৎসাসহ সার্বিক সেবা পেতে দুর্ভোগে পড়তে হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের। পাশাপাশি উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতেও অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়। ফলে বাম্পার ফলন হলেও লাভের মুখ দেখা হয় না তাদের। চর মাজারদিয়ার এলাকার পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মিজান বলেন, রাস্তা অল্প হলেও শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় যে কোনো সুবিধা পেতে আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
চরটির সাবেক মেম্বার শামীম ইসলাম বলেন, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন, সুবিধা-অসুবিধায় শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই হয়। কিন্তু এই যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈন্যদশার কারণে এই চরের বাসিন্দাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। এই চরসংলগ্ন নদী থেকে খালি চোখেই শহর দেখা যায়। তবে সেই নদী পারাপারে সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। ফলে জরুরি রোগী ও উৎপাদিত ফসল নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় কাটে এই চরের বাসিন্দাদের।
পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলে রেজবি আল হাসান মুঞ্জিল বলেন, চরের এই সমস্যা বহু বছর ধরেই চলে আসছে। এ সমস্যা সমাধানে চরে রাবার ড্যাম স্থাপন ও ড্রেজিং করতে হবে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। এটি হলে চারবাসীর দুঃখ কমে যাবে।
Leave a Reply