টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাজশাহী মহানগরীর অনেক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে গাড়ির বদলে নৌকা চলাচল করছে। নগরীর বর্ণালী মোড় এলাকায় নৌকায় করে সড়ক পার হতে দেখা গেছে অনেককে।
জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহীতে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। বৃষ্টি থামেনি আজ সকাল-দুপুরেও। ফলে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে সড়কগুলো। পানিতে ডুবে থাকা সড়কে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে নগরীবাসীকে। এছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে অনেকের বাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে গেছে। ফলে নগরীর উপশহর এলাকা, লক্ষ্মীপুর, রাজিব চত্বর, বর্ণালী মোড়, সিপাইপাড়া, সাহেব বাজার তালাইমারী এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সারাদিন ভোগান্তির পর বিকেলের দিকে এসে পানি নেমেছে। পানি নামলেও অনেক জায়গায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে।
নৌকার চালক রায়হান বলেন, দুপুর থেকে ২০০ জনের বেশি মানুষ পারাপার করেছি। আমরা সাধারণত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পারাপার করছি। একই সঙ্গে আল আরাফা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী ও তাদের স্বজনদের পারাপার করছি।
বর্ণালী মোড় এলাকায় জয় নামে এক বাসিন্দা বলেন, একটু বেশি বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে যায়। সড়কের পাশে যে ড্রেনটি আছে, সেই ড্রেনে আশপাশের এলাকার পানি আসে। এলাকার পানি ও আশপাশের পানি এসে এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
নৌকার চালক রায়হান বলেন, দুপুর থেকে ২০০ জনের বেশি মানুষ পারাপার করেছি। আমরা সাধারণত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পারাপার করছি। একই সঙ্গে আল আরাফা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগী ও তাদের স্বজনদের পারাপার করছি।
কোচিংয়ের পরিচালক মাসুদ বলেন, আমাদের অ্যাডমিশন কোচিংয়ে ভর্তির বিষয়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ অভিভাবক আসে। কিছুদিন আগে আমাদের অ্যাকাডেমিক অনুষ্ঠান চলছিল। সেদিন হঠাৎ এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। যেহেতু শহরের মানুষ কাদা, নোংরা পানিতে থাকতে অভ্যস্ত নয়, সেদিন আমরা অনেক কষ্ট করে তাদের পার করেছি। পরে সবাই মিলে আলোচনা করে আমরা একটা নৌকা কিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজশাহী সিটি করপোরেশেনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদারের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, রাজশাহীতে গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি অতি ভারী বর্ষণ। আকাশে মেঘ রয়েছে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরও রয়েছে। এমন আবহাওয়া আরও দুই দিন থাকতে পারে।
Leave a Reply