রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের একদিন পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটা ও বিকেল ৫টার দিকে চারঘাট উপজেলঅর ইউসুফপুর এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এরা হল ইমতিয়াক হোসেন সিয়াম (১২) ও সজীব হোসেন (১২)। সিয়ামের বাড়ি নগরের চরশ্যামপুর মহল্লায়। তার বাবা শুকুর আলী একজন অটোভ্যানচালক। নিখোঁজ সজীব হোসেনের বাড়ি সাতবাড়িয়া মহল্লায়। তার বাবা ইকবাল হোসেন একজন অটোরিকশাচালক। বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সিয়াম ও সজীব।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ইউসুফপুর এলাকায় সিয়ামের মরদেহ পাওয়া গেছে। আর বিকেল ৫টার দিকে একই এলাকা থেকে সজীবের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দুইটি ভেসে উঠে।
গত বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে সিয়াম তার মামাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল। আর সজীব এসেছিল চাচাতো বোনের বিয়েতে। বরযাত্রী তখনো আসেননি। এই ফাঁকে তারা দুজন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এর পর থেকে দুজনের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতবাড়িয়া মহল্লায় পদ্মা নদীতে নেমে তারা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় বিয়েবাড়ির আনন্দ উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় পরিণত হয়েছে। সাতবাড়িয়া গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে গতকাল সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটায় অভিযান স্থগিত করা হয়। শনিবার সকাল ছয়টা থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
সজীবের দাদি জোছনা বেগম বলেন, বরযাত্রীদের জন্য রান্না হয়েছিল। তাঁরা এসেছিলেন দুপুর ১২টার দিকে। খাওয়ার আগে দুই বাচ্চা ডুবে যাওয়ার খবর শুনে আর কেউ বিয়ে বাড়িতে দাঁড়াননি। বরযাত্রীরা খাওয়াদাওয়া বাদ দিয়ে শুধু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেয়ে নিয়ে চলে গেছেন। বিয়ে বাড়ির কোনো আনন্দ আর হয়নি।
সিয়ামের মা সীমা বেগম বলেন, কনের বাবা আশরাফ আলী তাঁর মামাতো ভাই। বিয়ের দাওয়াত পেয়ে তিনি ছেলেকে নিয়ে বৃহস্পতিবারেই এসেছিলেন।
Leave a Reply