রাজশাহী নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডে অপরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মানের কারনে উন্নয়ন মূলক কাজ ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বহুতল এসব ভবন নির্মানে আরডিএ থেকে পাশকৃত প্ল্যান মোতাবেক ফাঁকা জায়গা না ছেড়েই নির্মান করা হয় বহুতল ভবন। এ কারনে নবনির্মিত ফুটপাত ও ড্রেন ভেঙ্গে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করছে রাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ডের বন্ধগেট থেকে সিটি হাট পর্যন্ত তেরখাদিয়ার রাস্তার পাসের কিছু বহুতল ভবন মালিকরা বলে অভিযোগ তেরখাদিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজের।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তেরখাদিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পদ্মাটাইম নিউজ পোর্টালের ইমেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন-সৌন্দর্য্যে প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগরী। প্রশস্ত সড়ক, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নির্মল বায়ু, সবুজ আর ফুলে ফুলে সাজানো সড়ক বিভাজক, কারুকাজ, উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, দৃষ্টিনন্দন রাতের আলোকায়ন-এই নগরীকে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। ইতোমধ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে দেশসেরা শহরে পরিণত হয়েছে রাজশাহী মহানগরী। এই নগরীকে সাজানোর সুনিপন কারিগর, আধুনিক রাজশাহীর রূপকার, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নগরপিতার নিরলস পরিশ্রম, দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্বে রাজশাহীর আজকের এই খ্যাতি ও অর্জন।
রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর বন্ধগেট হতে সিটি হাট পর্যন্ত বর্তমান দুইলেন সড়কটি চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে। ৩.৫৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি ৮০ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। উভয়পাশে ২২ ফুট করে ৪৪ ফুট রাস্তা, রাস্তার উভয় পাশে ৬ ফুট করে মোট ১২ ফুট ড্রেন ও রাস্তার ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়েছে যার শতকারা ৮৫% ভাগ কাজ ইতোঃমধ্যে শেষ হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তেরখাদিয়া মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে সিটি হাট পর্যন্ত সড়কের আলোকায়নের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাস্তাটিকে ধীরে ধীরে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। এই রাস্তার দুইপাশে আনুমানিক ১৫ টির মতো সুউচ্চ ১০ তলা বিল্ডিং রয়েছে। প্রতিটি বিল্ডিংয়টি তৈরী করার সময় আরডিএ হতে পাশকৃত প্ল্যান মোতাবেক ফাঁকা জায়গা না ছাড়ার ফলে সম্প্রতি ৪ লেনের রাস্তার তৈরীর কার্যক্রম হিসেবে দুই পাশে ৬ ফুট করে ড্রেন তৈরী করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কোন কোন জায়গায় ৬ ফুটের পরিবর্তে ৪ ফুট করে ড্রেন তৈরী করা হয়েছে আবার কোথাও কোথাও রাস্তার প্রশস্ততাও কমে গেছে শুধুমাত্র সুউচ্চ বিল্ডিংগুলোর জায়গা ছাড়ার অভাবে।
প্রতিটি বিল্ডিংয়ের ১ম তলার মেঝের উচ্চতা রাস্তা হতে আনুমানিক ৪-৬ ফুটের মতো। ফলে তারা তাদের বিল্ডিয়ের ১ম তলার মেঝের সাথে রাস্তার ঢাল মিলাতে পারছেনা। ফলশ্রুতিতে তারা নিজেদের ছাদ ভেঙ্গে ঢাল না মিলিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অতি সম্প্রতি তৈরী করা ড্রেনের আরসিসি ঢালাই ভেঙ্গে দিয়ে তাদের চলাচলের ও গাড়ি উঠা নামা করার রাস্তার ঢাল মিলাচ্ছে এবং এই কাজ এখনও চলমান রয়েছে। এর ফলে সমতল ফুটপাত একপাশে ১.৫ ফুট থেকে ২.৫ ফুট পর্যন্ত উচু হয়ে গিয়েছে এবং চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে পরর্বীতে পথচারীর চলাচলের জন্য তৈরীকৃত ফুটপাত আর ফুটপাত থাকবেনা এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ঢাল মিলানো রাস্তাতে পরিণত হবে। বিল্ডিংয়ের মালিকগণ নিজেরে ছাদ কেটে ইচ্ছে করলেই ঢাল মিলাতে পারে। কিন্তুু সেটি না করে সরকারী রাস্তা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে পথচারীর ব্যবহারের অনুপযোগী করে ফেলছে।
এবিষয় ফুটপাত ভেঙ্গে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মানকৃত বহুতল ভবন মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয় রাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছে অনেক এলাকাবাসী। রাজশাহীর উন্নয়নের রুপকার নগর পিতা প্রিয় নেতা লিটন ভাই এর সাথে এ বিষয় আলোচনা করে তার দেয়া দিক নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply