রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেঘাটে যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীসহ ওয়াটার বাসডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ।
রোববার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান। আমরা চেষ্টা করছি ওয়াটার বাসটিকে পানি থেকে উঠানোর। ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
কেউ নিখোঁজ আছেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিখোঁজের সংখ্যাটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা যতটুকু জেনেছি ওয়াটার বাসটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনাটি নদীর তীরে হওয়ায় অনেক যাত্রী পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। তবে, অনেকে তাদের স্বজন নিখোঁজ আছেন বলে দাবি করছেন। তাদের তথ্য দিয়ে নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।
‘কারণ, দেখা যাচ্ছে একজনের খোঁজে চার-পাঁচজন স্বজন দুর্ঘটনাস্থলে এসেছেন। আমাদের আনুমানিক ধারণা, আট থেকে ১০ জন নিখোঁজ থাকতে পারেন। ওয়াটার বাসটি পানি থেকে তুলতে পারলে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। তবে, এক্ষেত্রেও নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে না। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে দূরে কোনো মরদেহ ভেসে উঠতে পারে। সেজন্য এখনই নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।’
রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গার নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সরকারি ওয়াটার বাসটির। সঙ্গে সঙ্গে এটি ডুবে যায়। নৌ-পুলিশ সদরঘাট থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply