বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কথিত প্রেমিক উজ্জ্বল হোসেনকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আমলী (শাহমখদুম) আদালতে জামিন আবেদন জানালে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে প্রেমিক উজ্জ্বল হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কথিত প্রেমিক উজ্জ্বল হোসেন (৩৫) দুর্গাপুর উপজেলার আনোলিয়া গ্রামের সাবের আলীর পুত্র।
জানা গেছে, মামলার বাদী বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করেন। অন্যদিকে আসামি উজ্জ্বল হোসেন পেশায় মৎস্য চাষি। ব্যাংকে লেনদেন করার সুবাদে বাদীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন কথিত প্রেমিক উজ্জ্বল হোসেন। দুই বছর আগে বাদীর ভাড়া বাসায় মৌলভী ডেকে বাদীকে বিয়ে করেন উজ্জ্বল হোসেন। এরপর বাদীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন উজ্জ্বল হোসেন। এরই মধ্যে পুকুরের ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে বাদীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোট ৪ লাখ টাকা নেয় উজ্জ্বল হোসেন। বাদীকে স্ত্রী পরিচয়ে ঘর সংসার করতে থাকে উজ্জ্বল।
এক পর্যায়ে বাদী টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে আসামী উজ্জ্বল হোসেন সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বাদী উজ্জ্বল হোসেনের গ্রামের বাড়িতে দেখা করতে গেলে বাদীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর ২৫ ডিসেম্বর বাদীর ভাড়া বাসায় আপোষ-মীমাংসায় বসা হলে উজ্জ্বল হোসেন জানায় সে টাকা ফেরত দেবেনা। এমনকি বিয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করে। যে মৌলভীকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে তিনিও ভূয়া মৌলভী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা উজ্জ্বল হোসেনকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। উপায়ন্তর না দেখে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হন।
বাদী গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহী মহানগর আমলী (শাহমখদুম) আদালতে উপস্থিত হয়ে এজাহার দায়ের করলে আদালত বাদীর এজাহার আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন মর্মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদীর আইনজীবী এডভোকেট সুনির্মল সরকার পান্না বলেন, এই মামলার ধ্যার্য তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামী উজ্জ্বল হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন জানালে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন এবং আসামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply