নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিজের লোক, আত্মীয়স্বজন দিয়ে কমিটি করা চলবে না। ত্যাগী, দুঃসময়ে যারা ছিল তাদের দিয়ে কমিটি করবেন। পদ না থাকলে কেউ সালামও দেবে না, মুখের দিকে চেয়ে নেতা বানাবেন না। পকেট বাণিজ্য কিংবা স্বজনপ্রীতি করে কমিটি গঠন নয়, কমিটি গঠন করতে হবে নিবেদিতদের নিয়ে। কমিটিগুলো করে ফেলুন প্লিজ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) গণতন্ত্রের পথে কখনো চলে না। তারা যে কায়দায় আন্দোলন করতে চায় তাদের সেই সাম্প্রদায়িক কায়দা, সন্ত্রাসী কায়দা, জঙ্গিবাদী কায়দার রাজনীতির জবাব দেব। আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করি, বিএনপি করে না। দেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাকারী একটি মাত্র দল আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুই মাসে মিটিং করে। প্রয়োজনে আমরা যৌথসভা করি সহযোগী সংগঠনসহ। আগামীকালও (শুক্রবার) যৌথসভা রয়েছে। এর মধ্যে আমরা তিনটা সম্মেলন করে ফেলেছি। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সবগুলো সম্মেলন করেছি।’
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র নেই। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয়ভাবেও কোনো সম্মেলন হয় না, মিটিং হয় না। দেশে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, উদ্ভট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, ত্রুটিগুলো সংশোধিত হয়ে গণতন্ত্রে রূপ নেয়। ৫০ বছরের স্বাধীনতায় পুরোটা গণতান্ত্রিক শাসনে থাকতে পারিনি। এর মধ্য জিয়া-এরশাদের স্বৈরাচারী শাসন ছিল। খালেদা জিয়ারও শাসন ছিল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়, যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হওয়ার পর ১৩ জন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। বঙ্গভবন থেকে গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনা দেখেন বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, টেলিফোন লাইন কাটা। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। সাইকেল ফেডারেশন পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০১ সালে গণতন্ত্রের নামে দেশকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে গিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ ময়মনসিংহ বিভাগের সব সংসদ সদস্য ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
Leave a Reply