গেল বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাজধানীর শাহজানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল মিয়া। তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে মাংসের দাম সহনশীল পর্যায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে দাম ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আসায় নিম্নআয়ের অনেকেই মাংস কেনেন। কিন্তু হুট করে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় আবারও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার।
এদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে লেয়ারের দাম। গত সপ্তাহ এবং এ সপ্তাহেও ২৮০ টাকা দরেই লেয়ার বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি এবং কেজিপ্রতি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কক মুরগি।
গরুর মাংস বিক্রেতা হারিস উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহে যে দামে মাংস দিতে পেরেছি এ সপ্তাহ থেকে আর সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অতিরিক্ত দামে গরু কিনছি ফলে দাম না বাড়ালে লোকসানে পড়তে হবে। দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ মাংস একটু কম কিনতে আসে। দাম কম থাকায় কিছুদিন মাংসের চাহিদা প্রচুর ছিল। তবে এখন দাম বাড়লেও ক্রেতা ঠিকই আছে।
বাজার করতে আসা রিপন আহমেদ বলেন, কিছুদিন গরুর মাংসের দাম মোটামুটি কম ছিল। দাম কমে যাওয়ায় আমি প্রায় ৩ কেজি মাংস কিনে নিয়েছিলাম। সেগুলো এতদিন খেয়েছি। কিন্তু এখন আবার দাম বেড়েছে। তিন কেজি কেনার সাহস আর নেই। ১ কেজি দিয়েই চালিয়ে নিতে হবে।
মাংস কিনতে আসা আলাউদ্দিন আল রাজী বলেন, সবকিছুই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনো কিছুর দাম ৫০ টাকা কমলে হুট করে অন্যকিছুর দাম ২০০ টাকা বেড়ে যায়। আবার ২০০ টাকা বেড়ে গেলে নানা চেষ্টার পর ২০ টাকা কমায়। আমরা এগুলোই মেনে চলছি। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই। লাগামহীন বাড়ছে সবকিছুর দাম। সরকারের যে মনিটরিং রয়েছে সেটা আহামরি কোনো কাজে দিচ্ছে না। আমরা মেনে নিচ্ছি সব। এভাবে মেনে নিয়েই বাঁচতে শিখে যাচ্ছি।
Leave a Reply