ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় প্রায় হারিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের দুটি অংশ — গাজা ও পশ্চিম তীরে — ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৯৪৩ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং আরও ২১ হাজার ৬৮১ জন আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের বরাতে প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধে ৪২৫টি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট ভবন এবং এর পাশাপাশি ইউএনআরডব্লিউএ-অধিভুক্ত ৬৫ স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পশ্চিম তীরে ১০৯টি স্কুল ও সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
Leave a Reply