গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম৷ কেজিতে প্রায় ২-৩ টাকা বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এখনই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানী কারওয়ান বাজারের পাইকারি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি চিকন মিনিকেট চাল ৬৬ থেকে ৭০; নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৮২; মোটা আটাশ ৫২ থেকে ৫৫; স্বর্ণা (গুটি) ৫০ থেকে ৫২; স্বর্ণা (পাই জাম) ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চাল বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে৷ কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা।
শাহজাহান নামে এক বিক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ ধরে চালে দাম বাড়তি। যে চালের বস্তার দাম এক সপ্তাহ আগে ৩ হাজার ৩০০ টাকা ছিল, সেটিই এখন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। মিল পর্যায়েই চালের দাম বেশি। বাধ্য হয়ে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। ধানের উৎপাদনও এবার ভালো হয়েছে। তারপরও কেন দাম বাড়ছে তা জানি না। সরকারের উচিত বিষয়টি চাতাল মালিকদের কাছ থেকে খোঁজ নেওয়া; প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। তা না হলে দাম আরও বাড়তে পারে।
জসিম উদ্দিন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, চালের দাম বাড়ার প্রকৃত কারণ জানতে হলে মিল মালিকদের কাছে যেতে হবে। আমার ধারণা, বড় বড় রাঘব-বোয়ালরা ধান কিনে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। যে কারণে দাম বাড়ছে।
এদিকে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পাবনার পেঁয়াজ ৫৭০-৫৮০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৫৬০-৫৭০ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বন্যা, বৃষ্টি ও কৃষককেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা।
রাসেল নামের এক বিক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে কৃষকরা হাটে কম পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। যে কারণে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ নষ্টও হচ্ছে। তাই দামও বাড়ছে।
Leave a Reply