দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে এই প্রথম কুয়াকাটা ফিরেছে তার নিজস্ব রূপে। টানা দুই মাস পরে পর্যটকে মুখরিত কুয়াকাটা। হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে। দুই মাসের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই কুয়াকাটা মুখরিত হয় পর্যটকদের পদচারণায়। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, বিনোদন কেন্দ্রসহ সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লক্ষ্য করা যায় পর্যটকদের চোখে পড়ার মতো ভিড়। ছয়দিনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আজ পুরোপুরি পরিষ্কার।সূর্য উদয় এবং অস্তের সাধও নিয়েছেন পর্যটকরা মন ভরে।
বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক নূরে জান্নাত মিমি বলেন, শীতকালীন সমুদ্র দেখার খুব ইচ্ছে ছিল তাই কুয়াকাটা সৈকতে আসলাম। আমরা পরিবারের মোট বারো জন সদস্য এসেছি। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখলাম সমুদ্রে গোসল করলাম এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরলাম। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর সময় কাটালাম কুয়াকাটায়।
খুলনা থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা রাব্বিকুল বলেন, সমুদ্র বাংলাদেশের অনেক জায়গা থেকেই দেখা যায় তবে কুয়াকাটা থেকে দেখার সাধ একটু আলাদা। কারণ কুয়াকাটা থেকে সূর্য উদয় এবং অস্থ দুটোই দেখা যায়। তাই বার বার সমুদ্রের প্রেমে ছুটে আসি কুয়াকাটায়। কুয়াকাটা খুবই সুন্দর এবং ভালো লাগার মতো জায়গা।
এ বিষয় হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, গত দুমাসে আজকে আমাদের হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে। এখন থেকে পর্যটক বাড়বে বলে মনে করছি আমরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পর্যটন খাতের। তারই ধারাবাহিকতায় গত দুমাসে তেমন একটা পর্যটন আসেনি কুয়াকাটায়। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষ্যে আজ কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ হোটেল বুকিং আছে। পর্যটক আসার এ ধারাবাহিকতা থাকলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, কিছু দিন পর্যন্ত কুয়াকাটায় তেমন বেশি পর্যটকের চাপ না থাকলেও আজ চোখে পড়ার মতো পর্যটক কুয়াকাটায়। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
Leave a Reply