রাজশাহীর তানোরে কাঁচা মাটির রাস্তা সংস্কার ও পাকা ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম এবং নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা তসরুপের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলমা ইউনিয়নে (ইউপি) কাবিটা-কাবিখা প্রকল্পে এমপির বিশেষ বরাদ্দে ইউপির ঘৃতকাঞ্চন গ্রামে ড্রেন নির্মান ও সালতালা শুরিপুকুরে মাটির রাস্তা সংস্কারের এসব অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। তারা বলেন, এই দুটি উন্নয়ন কাজ সরেজমিন তদন্ত করলেই এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
গত ২৭ জানুয়ারী শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, ইউপির ঘৃতকাঞ্চন গ্রামে ওয়াজেদের বাড়ির উত্তরে ও পাকা রাস্তার দক্ষিনে ১৫০ ফিট ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে। যার বরাদ্দ প্রায় ৩ লাখ টাকা। প্রকল্প সভাপতি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) সাজ্জাদ হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই নম্বর ইট ব্যবহার ও পরিমাণে কম সিমেন্ট দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ করা হচ্ছে। এবিষয়ে কাজের হেডমিস্ত্রি বলেন, মেম্বার সাজ্জাদ যে ভাবে বলেছে সে ভাবেই কাজ করা হচ্ছে।
বরাদ্দ কিংবা সিডিউল বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, এসব মেম্বার বলতে পারবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার সাজ্জাদ হোসেন জানান, তিনি রাজশাহীতে আছেন, অফিস থেকে যেভাবে বলেছে সে ভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে ইউপির সালতালা শুরিপুকুর গ্রামে কাঁচা মাটির রাস্তা সংস্কারে হয়েছে নজিরবিহীন অনিয়ম। অথচ রাস্তা সংস্কারে প্রায় ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্ত্ত রাস্তা সংস্কারে এক লাখ টাকাও ব্যয় করা হয়নি বলে গ্রামবাসীর দাবি। প্রকল্প সভাপতি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) নাজিম উদ্দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার নাজিম উদ্দীন জানান, অনেকদিন হল কাজ করা, কর্তৃপক্ষ এসে কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গ্রামের বাসিন্দা কয়েকজন আদিবাসী বলেন, কাজের বিষয়ে কথা বললে মেম্বার তাদের বলেন, বরাদ্দের ৪০ পার্সন্ট টাকা আগেই কেটে নেয়া হয়। তাহলে তারা কাজ করবেন কিভাবে। আবার কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ি কাজ না করলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাজ শুরুর আগেই বরাদ্দের নাকি ৪০ পার্সেন্ট টাকা কেটে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব মিথ্যা বনোয়াট, নিজেদের অনিয়ম দুর করতে ফাকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই না।
Leave a Reply